ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হাসপাতালে ওয়ার্ডবয় দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম 

পুলক সরকার, খোকসা, কুষ্টিয়া

প্রকাশিত: ১২:২১, ২১ মে ২০২৫; আপডেট: ১২:২৫, ২১ মে ২০২৫

হাসপাতালে ওয়ার্ডবয় দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম 

লাল বৃত্তে চিহ্নিত ওয়ার্ডবয় তুহিন চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে

চিকিৎসক, নার্সসহ জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা। কাগজে কলমে ৫০ শয্যার হলেও মাত্র ২ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। আবার এই দুইজনই ডিউটি করেন খেয়াল খুশিমতো। আর হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। এ কারণেই প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষ পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে।

খোকসার প্রায় ২ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এই হাসপাতালে উপজেলার বাহিরে পার্শ্ববর্তী পাংশা ও কুমারখালী থেকেও রোগীরা আসে চিকিৎসা নিতে। শুরুতে এটি ২০ শয্যায় থাকলেও পরবর্তীতে তা উন্নিত করা হয় ৫০ শয্যায়। ৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের ২২ টি পদের মধ্যে শূন্য আছে ১৩ টি। বাকি অন্যান্য ডাক্তার রয়েছেন ডেপুটেশনে। এছাড়াও তৃতীয় শ্রেণির ১৮ টি, চতুর্থ শ্রেণির ১৩ টি এবং নার্সের ০৬ টি পদ শূন্য রয়েছে। 

প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় ব্যান্ডেজ, সেলাইসহ বিভিন্ন অস্ত্রোপাচার করছেন পিয়ন ও ওয়ার্ডবয়রা। ফলে সব সময় রোগীরা থাকেন মৃত্যুর ঝুঁকিতে। এছাড়াও হাসপাতালে নার্সদের ব্যবহার, খাবারের মান এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। রয়েছে দালালদের উৎপাত। 

শিগগিরই রোগীদের সেবা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্সসহ জনবল নিয়োগ দিয়ে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর করতে সরকারের দায়িত্বশীল বিভাগ কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার আহবান স্থানীয়দের।

ওয়ার্ডবয় তুহিন ইসলাম বলেন, ছোটখাটো কাটাছেঁড়া ও বেন্ডেজ আমরাই করি। হাসাপাতালে ডাক্তার সংকট। ১ জন টিএইচও ও ২ জন মেডিক্যাল আফিসার রয়েছে। মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট আছে মারাত্মক রোগী হলে স্যারের কল দিলে স্যাররা এসে দেখে যায়। আর বাদবাকি রোগী মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্টরা দেখে। 

খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: রাজীব কুমার সাহা বলেন, এত কম সংখ্যক ডাক্তার দিয়ে আউটডোর, ইনডোর ও ইমারজেন্সি বিভাগ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালটিতে দালাল মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণও করেন তিনি। 

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা: শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন চিকিৎসক, নার্সসহ জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি সম্পর্কে পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। সংকট নিরসনে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়কেও অবগত করা হবে বলেও জানান সিভিল সার্জন।

এএইচএ

×