
ছবি: সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের উলিপুরে দীর্ঘ ছয় বছর রাস্তার বেহাল দশার কারণে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বৃষ্টি হলেই কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায় রাস্তাটি। বড় বড় গর্ত এবং উঁচু-নিচু খাঁদ সৃষ্টির কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। এতে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের চলাচলে গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উলিপুর পৌরসভার পূর্ববাজার থেকে আজমের মোড় পর্যন্ত ৪৭৫ মিটার রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গর্ত, কাঁদা, ধুলো ও উঁচু-নিচুর কারণে প্রতিদিন হাজারো মানুষ, যানবাহন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটির সাথে উলিপুর সরকারি কলেজ, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উলিপুর বহুমুখী আলীম মাদ্রাসাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকলেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলার কারণে দীর্ঘ দিনেও রাস্তাটি সংস্কার হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে রাস্তাটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মেসার্স বেলাল কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি গত এপ্রিল মাসে রাস্তার পাশে দশ ইঞ্চির ইটের গাথুনী দিয়ে নানা অজুহাত দেখিয়ে কাজ বন্ধ রাখেন। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন লক্ষাধিক মানুষ।
এলাকাবাসী ও পথচারীরা জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রাস্তাটির কাজ না হওয়ায় রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার কোথাও কোথাও ঢেউটিনের মতো উচুঁ-নিচু হওয়ায় যানবাহন চলাচল করছে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে। এই রাস্তায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় কাদা-পানিতে একাকার হয়ে গেছে। এতে করে রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আর ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করা সিএনজি, অটোরিক্সা, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা জানান, ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চলাচলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে গাড়ির বিভিন্ন যত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে আবার বৃষ্টি। ফলে এই রাস্তায় গাড়ি চালানো অনেকটাই কঠিন।
এ বিষয়ে উলিপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারঃ) মাহবুবুল অলম জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, বৃষ্টির কারণে রাস্তার কাজ বন্ধ থাকলেও আবার কাজ শুরু করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এএইচএ