
ছবিঃ সংগৃহীত
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে দীর্ঘ ফোনালাপের পর ইউক্রেন ও তার মিত্র দেশগুলো একরকম ধাক্কা খেল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগে বলেছিলেন, যুদ্ধ থামাতে হলে প্রথমে ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি দরকার—যা ইউক্রেন পুরোপুরি সমর্থন করেছিল। কিন্তু পুতিন রাজি হননি। সোমবারের ফোনালাপে ট্রাম্প সেই আগের দাবির কথা আর তেমনভাবে তুললেন না।
এখন তিনি বলছেন, যুদ্ধ থামানো আর শুধু তার একার পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে ইউক্রেন আরও একা হয়ে পড়েছে, আর ইউরোপের নেতারাও হতাশ।
মাত্র তিন মাস আগে ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সম্পর্কের টানাপোড়েন প্রকাশ্যে আসে। এরপর থেকেই ইউরোপের নেতারা সেই সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করছিলেন।
ট্রাম্প কিছুদিন আগেও বলেছিলেন, পুতিন যদি শান্তির পথে না আসে, তাহলে রাশিয়ার ওপর আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। ইউক্রেন ভেবেছিল, এতে হয়তো পুতিনের অবস্থান নরম হবে। কিন্তু এখন ট্রাম্প বরং বলছেন, যুদ্ধ শেষ হলে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করতে চান।
একজন ইউরোপীয় কূটনীতিক বললেন, “রবিবার ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতি চাইবেন আর রাশিয়া না মানলে চাপ দেবেন। কিন্তু পুতিনের সঙ্গে কথা বলার পরেই তার মন বদলে গেছে। তাকে বিশ্বাস করা মুশকিল।”
ট্রাম্পের মতে, রাশিয়া আর ইউক্রেন এখন শান্তি আলোচনা শুরু করতে চাইছে। কিন্তু ইউরোপ আর ইউক্রেনের অনেকেই এই কথায় অবাক।
এদিকে রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনের চেয়ে অনেক বড়, এবং গত এক বছর ধরে তারা কিছু কিছু এলাকায় অগ্রগতি করেছে। রাশিয়া বলছে, আলোচনায় বসতে হলে যুদ্ধক্ষেত্রের বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখেই চুক্তি করতে হবে।
এই অবস্থায় ইউরোপ ও ইউক্রেন নতুন করে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, এবং তারা বলছে—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা কাজ চালিয়ে যাবে, যদিও ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে এখন অনেক সন্দেহ।
তথ্যসূত্রঃ https://www.reuters.com/
মারিয়া