ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ট্রাম্পের বড় দাতা এলন মাস্ক বললেন, "রাজনীতিতে খরচ কমাবো, যথেষ্ট করেছি"

প্রকাশিত: ০১:০৬, ২১ মে ২০২৫

ট্রাম্পের বড় দাতা এলন মাস্ক বললেন,

ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও রিপাবলিকান পার্টির অন্যতম বড় দাতা এলন মাস্ক জানিয়েছেন, তিনি রাজনীতিতে তার অর্থনৈতিক সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেবেন। গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারাভিযান ও অন্যান্য রিপাবলিকান প্রার্থীদের জন্য প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করার পর, এবার তিনি নিজেই বলছেন—“আমি ভবিষ্যতে অনেক কম করবো। আমার মনে হয়, আমি যথেষ্ট করেছি।”

মঙ্গলবার (২০ মে) কাতারে একটি অর্থনৈতিক ফোরামে বক্তব্য দিতে গিয়ে মাস্ক এ মন্তব্য করেন।

একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছর টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ঘোষণা এমন এক সময় এলো, যখন ট্রাম্প প্রশাসনে তাঁর সম্পৃক্ততা এবং সরকারি ব্যয়ে ব্যাপক কাটছাঁটের নেতৃত্ব দেওয়ায় তার সময় ব্যবস্থাপনায় ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

মাস্ক, যিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম X-এর মালিক, ট্রাম্পের একজন শীর্ষ সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তাঁর এই ভূমিকা টেসলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন জোরালো করেছে, যার ফলে কোম্পানির বিক্রি ও শেয়ার মূল্যে ধস নেমেছে।

মাস্ক যদি সত্যিই তার রাজনৈতিক খরচ কমিয়ে দেন, তাহলে তা ট্রাম্প ও রিপাবলিকান পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে। কারণ তিনি ছিলেন এই দলটির সবচেয়ে বড় অর্থদাতা।

তবে মাস্ক ভবিষ্যতে রাজনীতিতে খরচ পুরোপুরি বন্ধ করছেন না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে যদি রাজনৈতিক খরচের কোনো যৌক্তিক কারণ দেখি, তাহলে আমি অবশ্যই করবো।”

হোয়াইট হাউজের এক সূত্র এই সিদ্ধান্তকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, মাস্ক এখনো ট্রাম্প ও রিপাবলিকান পার্টির প্রতি "সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।" সূত্রটি জানায়, মাস্ক বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে, যেমন—উপদেষ্টা হিসেবে, আর্থিক অবদান এবং দাতাদের প্রভাবশালী নেটওয়ার্কে অনানুষ্ঠানিক প্রভাব খাটিয়ে সমর্থন চালিয়ে যাবেন।

ওই সূত্র আরও বলেন, মাস্কের এই ‘পেছিয়ে আসা’ বর্তমান রাজনৈতিক আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় একটি ‘যৌক্তিক সিদ্ধান্ত’, এবং প্রেসিডেন্ট তার এই অবস্থান পর্যালোচনার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মাস্কের এমন অবস্থান রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে।

সূত্রঃ https://www.facebook.com/share/1GQWoUkTZU/

ইমরান

আরো পড়ুন  

×