ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

গরুকে আদর করতে কাটতে হয় টিকিট!

প্রকাশিত: ২০:৪৭, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

গরুকে আদর করতে কাটতে হয় টিকিট!

গরুকে আদর করছেন এক নারী।

গরুর খামারে মানুষের ভিড়। তবে সেখানে দুধ কিনার জন্য না। তাদের চাওয়া খামারের গরুগুলোকে একটু আদর করা। আরো অবাক করার বিষয় হলো, গরুকে আদর করতে রীতিমতো পয়সা খরচ করে টিকিটও কাটতে হচ্ছে তাদের।

যুক্তরাজ্যের ইয়র্কশায়ার অঞ্চলের বেভারলি শহরে এ চিত্র দেখা যায়। ‘ডাম্বল ফার্ম’ নামে সেখানকার একটি খামার গরুর সঙ্গে সময় কাটানোর এ সুযোগ দিচ্ছে। 

খামারি ফিওনা উইলসনের ভাষ্য, কেউ কেউ কুকুর, বিড়াল বা ঘোড়া নিয়ে থাকতে চান। তবে অনেকেই আছেন, যাদের পছন্দ গরু। দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে প্রাণীগুলোর সঙ্গ অনেকটা থেরাপির মতো কাজ করে।

গরুর মাধ্যমে অর্থ কামানোর এ কৌশল মাথায় এলো কীভাবে- প্রশ্নেরও জবাবে ফিওনা বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন গরুর খামারিরা। মূল্যস্ফীতির কারণে খামার ব্যবসায় খরচ বেড়েছে। অপরদিকে দুধের দাম পড়ে গেছে। ফলে বাধ্য হয়েই আয়ের বিকল্প পথ খুঁজতে হয়েছে।’

দুগ্ধজাত পণ্যের খামারের বেহাল চিত্র তুলে ধরেছে যুক্তরাজ্য সরকারও। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫০ সালে যুক্তরাজ্যে এমন খামার ছিল ১ লাখ ৯৬ হাজারটি। ১৯৯৫ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৩৫ হাজার ৭০০টিতে। আর গত অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে এখন মাত্র ৭ হাজার ৫০০টি খামার রয়েছে।

ডাম্বল ফার্মে গরুকে আদর করতে জনপ্রতি ৬৩ ডলার (সাত হাজার টাকার বেশি) দিয়ে টিকিট কাটতে হবে। শুনলে অবাক হতে হয় যে টিকিটগুলো নাকি কয়েক মাস আগেই কিনে নেন লোকজন। টিকিট কাটা এমনই একজন স্টিভেন ক্লেওস। 

তিনি বলেন, ‘আমি সব প্রাণীকে ভালোবাসি। তবে বড় কোনো প্রাণীকে আদর করার মজাই আলাদা।’ তার স্ত্রী এমা ক্লেওসের ভাষায়, ‘আগে ভাবিনি এখানে এতটা প্রশান্তি পাবো। গরুগুলো খুব আদুরে।’

 

এম হাসান

×