
সংগৃহীত
ডিম আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের অন্যতম জনপ্রিয় উপাদান। পুষ্টিতে ভরপুর এই খাবারটি কীভাবে খেতে হবে এবং কোন রূপে খাওয়া সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর, তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন, ডিম খাওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি এবং পুষ্টিগুণ নিয়ে বিস্তারিত জানি।
ডিম খাওয়ার জনপ্রিয় পদ্ধতি ও তাদের নাম:
১. সেদ্ধ ডিম (Boiled Egg): ডিমকে জল ফুটিয়ে ভিতর পর্যন্ত সেদ্ধ করা হয়।
- কঠিন সেদ্ধ: ডিমের কুসুম সম্পূর্ণ সেদ্ধ থাকে।
- নরম সেদ্ধ: ডিমের কুসুম কিছুটা নরম থাকে।
২. ভাজা ডিম (Fried Egg): তেলে ডিম ভাজা হয়।
- সাধারণ ভাজা ডিম (Sunny Side Up): এক পাশে তেলে ভাজা হয়, উল্টানো হয় না।
- অমলেট (Omelette): ফেটানো ডিমের সঙ্গে সবজি বা অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে ভাজা হয়।
- স্ক্র্যাম্বলড ডিম (Scrambled Egg):ফেটানো ডিম কড়াইয়ে নেড়ে-চেড়ে ভাজা হয়।
৩. পোচড ডিম (Poached Egg):
- ডিম ভাঙ্গে ফুটন্ত পানিতে সরাসরি রান্না করা হয়, কোনো তেল ব্যবহার হয় না।
৪. ডিম ভর্তা (Mashed Egg):
- সেদ্ধ ডিম কেটে বা মিহি করে মশলা দিয়ে মেশানো হয়।
৫. ডিমের ভাজি (Egg Bhaji):
- ডিম কাটা বা সেদ্ধ করে মশলা দিয়ে ভাজা হয়।
ডিমের সর্বোচ্চ পুষ্টি ধারে রাখার উপায়:
সাধারণত 'সেদ্ধ ডিম' এবং 'পোচড ডিম' পুষ্টিগুণ ধারে রাখার দিক থেকে সেরা। কারণ রান্নার সময় তেল বা অতিরিক্ত ফ্যাট ব্যবহার কম হয়, ফলে ডিমের প্রোটিন, ভিটামিন (বিশেষ করে ভিটামিন B কমপ্লেক্স ও D), মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বজায় থাকে। অন্যদিকে ভাজা ডিম বা বেশি তেলে রান্না করা ডিমে অতিরিক্ত তেল যোগ হওয়ার কারণে পুষ্টিগুণ কিছুটা কমে যেতে পারে।
ডিম খাওয়ার সঠিক নিয়ম:
- সেদ্ধ ডিম খোসা ছাড়িয়ে সরাসরি খাওয়া যায়।
- ভাজা ও স্ক্র্যাম্বলড ডিম গরম গরম খেতে সুস্বাদু হয়।
- পোচ ডিম সাধারণত টোস্ট বা সালাদের সঙ্গে খাওয়া হয়।
- ডিমের সঙ্গে পুরো গমের রুটি, সবজি ও ফল খেলে পুষ্টি আরো বাড়ে।
- প্রতিদিন ১-২ ডিম খাওয়া সাধারণত নিরাপদ, তবে কোলেস্টেরল বা হার্টের সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তবে কাঁচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, কারণ এতে ব্যাকটেরিয়া (স্যালমোনেলা) থাকার সম্ভাবনা থাকে। অতিরিক্ত লবণ, মাখন এড়ানো ভালো।
সেদ্ধ, পোচড বা হালকা তেলে রান্না করা ডিম সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর। ডিমের নানা রকম রান্না উপায়ের মধ্যে পছন্দমতো বেছে নিয়ে স্বাস্থ্য সচেতন খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।
হ্যাপী