ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

ঠাণ্ডা, কাশি এবং সর্দি দূরীকরণে ঘরোয়াে উপায়

প্রকাশিত: ১৮:৩৬, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৮:৩৬, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ঠাণ্ডা, কাশি এবং সর্দি দূরীকরণে ঘরোয়াে উপায়

মৌসুমি পরিবর্তন ও বায়ু দূষণের কারণে ঠাণ্ডা, কাশি এবং সর্দি জমাট বাঁধা সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলো শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং সুস্থতার জন্য বেশ অস্বস্তিকর হয়ে উঠতে পারে। তবে ঘরোয়া কিছু সহজ প্রতিকারের মাধ্যমে আপনি এই সমস্যাগুলো সহজেই কমাতে পারেন।

১. চিকেন স্যুপ
এক বাটি গরম চিকেন স্যুপ আরামদায়ক এবং প্রদাহ কমানোর বৈশিষ্ট্যযুক্ত। স্যুপের গরম ঝোল শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে এবং এর বাষ্প নাক বন্ধ দূর করে। চিকেন স্যুপের পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা ঠাণ্ডা লাগার সময় খুবই কার্যকর।

২. মধু ও লেবু
মধু ও লেবুর মিশ্রণ প্রাচীন কালের একটি জনপ্রিয় প্রতিকার। মধু গলা ব্যথা কমায় এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী রাখে। অন্যদিকে, লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এক টেবিল চামচ মধু ও অর্ধেক লেবুর রস গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে কয়েকবার পান করুন।

৩. আদা চা
আদা তার প্রদাহবিরোধী গুণের জন্য পরিচিত, যা কাশি ও গলার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। আদা চা তৈরি করতে, টাটকা আদার টুকরো ফুটন্ত পানিতে ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। মধু যোগ করলে এর স্বাদ বাড়ে এবং অতিরিক্ত আরামদায়ক হয়। দিনে দুই থেকে তিনবার এই চা পান করুন।

৪. লবণ পানি দিয়ে গার্গল
গরম লবণ পানি দিয়ে গার্গল করা গলা ব্যথা কমায় এবং কাশি প্রতিরোধ করে। এক কাপ গরম পানিতে অর্ধেক চা চামচ লবণ মিশিয়ে ৩০ সেকেন্ড ধরে গার্গল করুন। এটি প্রদাহ কমায় এবং গলা পরিষ্কার রাখতে সহায়ক।

৫. হলুদ দুধ
হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ রয়েছে। হলুদ দুধ তৈরি করতে এক কাপ গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মেশান। মধু যোগ করলে এর স্বাদ আরও ভালো হয়। ঘুমানোর আগে এই দুধ পান করলে গলা আরাম পাবে এবং ঘুম ভালো হবে।

৬. পুদিনা চা
পুদিনার মধ্যে থাকা মেন্থল গলা ব্যথা কমায় এবং প্রাকৃতিক ডিকনজেস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করে। পুদিনার পাতা ফুটন্ত পানিতে ভিজিয়ে পুদিনা চা তৈরি করুন। এই চা থেকে বের হওয়া বাষ্প নাক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। দিনে তিনবার এই চা পান করুন।

৭. লবঙ্গের ব্যবহার
লবঙ্গের মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও প্রদাহবিরোধী উপাদান রয়েছে। লবঙ্গ চিবানো বা লবঙ্গের চা পান করলে গলার ব্যথা কমে এবং সর্দি-কাশি নিরাময়ে সহায়তা করে।
এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো ঠাণ্ডা ও কাশি থেকে সাময়িক আরাম দিতে পারে। তবে, যদি উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অবনতি ঘটে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মৌসুমী ঠাণ্ডা-কাশি দূর করতে ঘরোয়া প্রতিকার কার্যকর হতে পারে। তবে, নিয়মিত সচেতনতা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নাহিদা

×