ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অল্পতেই করতে পারেন অভ্যাসের পরিবর্তন

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ১৮ মে ২০২০

অল্পতেই করতে পারেন অভ্যাসের পরিবর্তন

সারাদেশে ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে রেস্তরাঁগুলো বন্ধ হওয়ায় ভোজনরসিকরা বেশ মনকষ্টেই আছেন। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আর সিনেমা দেখে সময় কাটানোর মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পেটে ক্ষুধা না থাকলেও কিছু একটা খেতে হয়ত প্রায়শই মন চাচ্ছে। গৃহবন্দী সময়ে এই বিশৃঙ্খল খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে শারীরিক ওজন নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে। এখন যেহেতু রমজান মাস চলছে তাই ইফতার ও সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রোটিন বেশি খান যেসব খাবারে ‘প্রোটিন’ বেশি, তা লম্বা সময় পেট ভরা রাখে। তাই এই পুষ্টি উপাদানের মাত্রা খাদ্যাভ্যাসে বেশি হলে ক্ষুধা যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকবে তেমনি নিয়ন্ত্রণে থাকবে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রাও। এ জন্য খেতে পারেন ডিম, বীজজাতীয় খাবার, ডাল, টকদই ইত্যাদি। ভোজ্য আঁশ খেতে পারেন খাদ্যাভ্যাসে ভোজ্য আঁশ বেশি থাকলে মল অপসারণ সহজ হওয়ার পাশাপাশি পাকস্থলিও সম্প্রসারিত হয়। এতে পরোক্ষভাবে ক্ষুধা কমে। ভোজ্য আঁশের মাত্রা বাড়াতে খেতে হবে সিম, মটরশুটি, কমলা, ডাল ইত্যাদি। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস এতকিছুর পরও হয়ত সময় কাটানোর জন্য কিছু খেতে ইচ্ছে হবেই। সেক্ষেত্রে উল্টোপাল্টা কিছু না খেয়ে বেছে নিতে হবে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস। যেমন, ঘরে বানানো হলেও ভাজাপোড়া খাবার না খেয়ে ফল, টকদই, ফলের সরবত ইত্যাদি বেছে নিতে হবে। পানি পান পাকস্থলিকে শীতল রাখতে পানি পান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে পেট যেমন ভরা থাকবে, তেমনি ত্বকও পরিষ্কার হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও কমাবে পানি পান করার অভ্যাস। তবে চিনিযুক্ত কোমল পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে। এ সময় প্রয়োজন ভিটামিন সি ভিটামিন সির দৈনিক সুপারিশকৃত মাত্রা হচ্ছে ৯০ মিলিগ্রাম, কিন্তু গর্ভবতী নারী ও ধূমপায়ীদের যথাক্রমে ৩০ ও ৩৫ মিলিগ্রাম অতিরিক্ত গ্রহণ করতে হয়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে এই ভিটামিন থাকা একান্ত প্রয়োজনীয়। ভিটামিন সি আপনাকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে, বাড়ায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। এটি অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও বটে। যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের হাত থেকে বাঁচায় আমাদের। বড়ায় লিম্ফোসাইট বা শ্বেতকণিকার সংখ্যা, তা যে কোন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেও সমর্থ হয়। তা ছাড়া শরীরে লোহার শোষণের জন্যও ভিটামিন সি প্রয়োজনীয় বিশেষ করে যারা নিরামিষ খান, তারা যদি যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি না গ্রহণ করেন, তাহলে কিন্তু উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে শরীর লৌহকণিকা শোষণ করতে পারে না। ভিটামিন সি কোলাজেন সিন্থেসিসের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় এবং তা ত্বক টানটান রাখতেও সাহায্য করে। জানেন কি, বয়স বাড়লে মানুষ স্মৃতিভ্রম ও হাড়ের স্বাস্থ্যক্ষয় গোছের যে ধরনের সমস্যায় ভোগে, তা ঠেকিয়ে রাখতে পারে ভিটামিন সি? ভিটামিন মূলত শাকসবজিতেই পাওয়া যায়। লেবু ও লেবুজাতীয় সব টক ফল ভিটামিন সির চমৎকার উৎস। কমলা, মাল্টা, আঙুর, পেঁপে, আনারস, জাম, জাম্বুরা, আমড়া, কাঁচা আম ইত্যাদি ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। সবুজ পাতা গোত্রের সব সবজি ও শাকেও পাওয়া যাবে এই ভিটামিন। এ ছাড়া কিছু মসলাজাতীয় উদ্ভিদ যেমন : কাঁচা মরিচ, পুদিনাপাতা, ধনেপাতা ভিটামিন সির ভাল উৎস। ফলসবজি ভাল করে ধুয়ে নিয়ে কাঁচাই খান। কারণ, বেশি উত্তাপে ভিটামিন সির সব গুণ নষ্ট হয়ে যায়। যাপিত ডেস্ক
×