ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মধুপুর-ধনবাড়ীতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা সরব

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ২৯ অক্টোবর ২০১৮

 মধুপুর-ধনবাড়ীতে সম্ভাব্য  প্রার্থীরা সরব

ইফতেখারুল অনুপম, টাঙ্গাইল ॥ মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা নিয়ে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন গঠিত। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইতোমধ্যে জেলার অন্যতম এ আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সরব তৎপরতা দেখা হচ্ছে। তৃণমূলের নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে এসব সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ। রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, চায়ের দোকান কিংবা যে কোন জনবহুল স্থানে আলোচনা একটাই বিএনপি কাকে মনোনয়ন দিচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও ছুটে বেড়াচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে। অংশগ্রহণ করছেন বিভিন্ন সভা সেমিনারে। রাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর অন্যতম সদস্য, সাবেক খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপির বাড়ি ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামে। রাজনৈতিক বোদ্ধারা মনে করেন টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনা, জেলার রাজনীতি মূল চালিকাশক্তি ও দেখভাল করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনি এলাকার উন্নয়নের প্রতীক হয়ে কাজ করে চলেছেন। এই আসনে তিনিই একমাত্র জনপ্রিয় প্রার্থী। এদিকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যেই যারা পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও ব্যানার লাগিয়ে মধুপুর ও ধনবাড়ীবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্নভাবে সম্ভাব্য প্রার্থিতা জানান দিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তারা হলেনÑ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ আসন থেকে বারবার প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী ফকির আহবুব আনাম স্বপন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, মধুপুর উপজেলা বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌরসভার মেয়র সরকার সহিদুল ইসলাম সরকার সহিদ। জাতীয় পার্টি থেকে বিভিন্নজনের নাম শোনা গেলেও তাদের তৎপরতা নেই বললেই চলে। জানা যায়, এ আসনে আওয়ামী লীগ ৬ বার বিজয়ী হয়। বাকি ৪ বার বিএনপিসহ অন্যান্য দল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিগত ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি নির্বাচিত হন। পরিসংখানে এ আসনে আওয়ামী লীগ এগিয়ে এবং এখানে আওয়ামী লীগের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। যে কারণে এ আসনে আওয়ামী লীগের বিজয়ী হওয়া খুব সহজ। তবে আওয়ামী লীগের দুর্গখ্যাত এ আসনটি দখলে নিতে বিএনপি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান এমপি, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিগত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমার নির্বাচনী এলাকা ধনবাড়ী ও মধুপুরে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। ধনবাড়ীতে মডেল উপজেলা ভবন, ৫০ শয্যার হাসপাতাল, থানা ভবন, ফায়ার সার্ভিস, পশু হাসপাতাল, মধুপুরে ৭২ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক সাইলো নির্মাণ, মধুপুর অডিটরিয়ামসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে। মধুপুরে ৭২ হাজার টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অত্যাধুনিক সাইলোসহ ধনবাড়ী ও মধুপুর উপজেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। দোয়া করবেন প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রায় সকল কাজই সম্পন্ন করেছি। কাজেই এলাকার জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও নির্বাচিত করলে সৎ ও নিরপেক্ষ থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাব। ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন বলেন, যে যাই বলুক না কেন এ আসনে ড. আব্দুর রাজ্জাকের কোন বিকল্প নাই। তিনি একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদ। এবারও মনোনয়ন তিনিই পাবেন এবং আল্লাহর রহমতে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনিই বিজয়ী হবেন। কেননা তার নেতৃত্বে মধুপুর-ধনবাড়ীতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পরিশ্রমের ফসল এবং সফল নেতৃত্বের গুণাবলীর কারণে তিনি সকলের কাছে এত জনপ্রিয় হয়েছেন। ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর ফারুক আহমাদ ফরিদ বলেন, এ আসনে বর্তমান এমপি ড. আব্দুর রাজ্জাকের কোন বিকল্প নাই। তিনি আগামীতে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।
×