ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আমনিুল ইসলাম মলিন

অভমিত ॥ এইচএসসরি ফল ও কছিু কথা

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২ আগস্ট ২০১৭

অভমিত ॥ এইচএসসরি ফল ও কছিু কথা

পরীক্ষায় পাস-ফলে, যুদ্ধক্ষত্রেে হার-জতি, ব্যবসা-বাণজ্যিে সাফল্য-র্ব্যথতা, প্রমেে জয়-পরাজয় সকল কছিুই সর্মাথক। জয়ীর গলায় পুষ্পমাল্য ওঠ।ে এতদনি বাংলাদশেে গণ-পরীক্ষায় জয়ীর সংখ্যাই বশেি ছলি। আকাশরে সকল তারা আমাদরে সন্তানদরে হাতে ধরা দয়ে। কন্তিু ফলাফলরে তনি মাসরে মাথায় যখন উচ্চশক্ষিায় প্রবশেরে যুদ্ধ শুরু হয়, তখন দখো যায় আমাদরে তারকা চহ্নিতি সন্তানরা বশেরি ভাগই পরাজতি। একাকী দাঁড়য়িে তারা পলাশীর প্রান্তর।ে অমাবস্যার করাল গ্রাস তাদরে চপেে ধর।ে দুঃখ-বদেনা-কান্না-র্ব্যথতা তখন নত্যিসঙ্গী। পরীক্ষার কাগজে ফলাফল মূল্যহীন বান্ধব। নামরে সঙ্গে তারকা আছÑে তবে অনুজ্জ্বল। আমাদরে সময় ছলি প্রথম বভিাগ, দ্বতিীয় বভিাগ, তৃতীয় বভিাগ। এর পরে রর্ফোড বা কম্পাটমন্টোল। তখন র্বোডে প্রথম ২০ জনরে ক্ষত্রেে স্ট্যান্ড নামক একটি উপাধি ছলি। বলা হতো অমুক কুমল্লিা র্বোডে র্ফাস্ট স্ট্যান্ড করছে।ে আর একটি জয়মাল্য ছলি-লটোর পাওয়া। যে বষিয়ে পরীর্ক্ষাথী ৮০ বা তার ওপরে নম্বর পতে, সে ওই বষিয়ে লটোর পয়েছেে বলে ধরা হতো। ১৯৭০ সালে যখন এসএসসি পরীক্ষা দইে, তখন মাত্র ১টি বষিয়ে লটোর পাই। বন্ধু-বান্ধব অনকেইে ২/৩/৪টি বষিয়ে লটোর পায়। পরে যখন স্কুলে নম্বর শটি এলো-তখন দখো গলে-চার লটোর পাওয়া বন্ধুকে ৪০ নম্বর পছেনে ফলেে নোয়াখালী শহররে সকল স্কুলরে মধ্যে আমইি র্সবােচ্চ নম্বরধারী। তবুও দুঃখ ঘোচনে।ি এসএসসতিে র্ফাস্ট ডভিশিন উইথ ফোর লটোর তো বলতে পারনি।ি মোট নম্বর তো গোপনীয়- এটা তো প্রচার করা যায় না। এখন দনি পাল্টছে।ে এখন বল-েগোল্ডনে জপিএি, জপিএি ফাইভ প্রভৃত।ি এতদনি ছলি ৫০ নম্বরে গঈছ টকি চহ্নি দয়িইে খালাস। ক, খ, গ, ঘ চারটি অপশনরে মধ্যে কোনটি সঠকি-টকি দাও। খধি ড়ভ ঢ়ৎড়নধনরষরঃু বা সম্ভাব্যতার সূত্র ধরলে যে কউে শুধু ‘ক’ অপশনে টকি চহ্নি দলিইে ২৫% নম্বর নশ্চিতি। এর সঠকি উত্তর পরীর্র্ক্ষাথীর জানা ছলি কি ছলি না সটো র্ধতব্য নয়। এছাড়া শক্ষিকদরে প্রতি নাকি ইঙ্গতি ছলি উত্তরপত্র সহজভাবে দখেবনে। ফলে করানো বাহাদুরি নয়, পাস করয়িে দতিে পারলইে শক্ষিক সফল স্কুল সফল র্বোড সফল এবং শক্ষিা মন্ত্রণালয় র্সবাঙ্গে সফল। ৮০-৯০% পরীর্ক্ষাথী পাস করছে-ে দশেরে শক্ষিায় দুধরে নহর বয়ে যাচ্ছ।ে নপিাট ভদ্রলোক ও সদা হাস-িখুশি শক্ষিামন্ত্রীও তৃপ্ত-র্গবতি। কন্তিু দনিে দনিে যখন এসব তারকা চহ্নিতি বা জপিএি ফাইভ পাওয়া সন্তানরা কোথাও র্ভতরি সুযোগ পায়ন,ি তখনই শক্ষিা মন্ত্রণালয়রে টনক নড়।ে তাই এবার গঈছ এর আকার ক্ষীণ করা হয়। খুব কড়াকড়ভিাবে উত্তরপত্র দখো হয়। তাই এবাররে এইচএসসতিে অন্যান্যবাররে চয়েে গোল্ডনে জপিএি, জপিএি কম, র্সবােপরি পাসরে হারও কম। এ ছাড়া বরাবররে মতো ইংরজেীতে বর্পিযয় তো আছইে। এইচএসসি পরীক্ষায় গত ১০ বছররে চত্রি দখেলে বোঝা যায়- এবারইে পাসরে হার র্সবনম্নি। এবাররে ১০টি শক্ষিা র্বোডরে এইচএসসি ও সমমানরে পরীক্ষায় সম্মলিতি পাসরে হার ৬৮.৯১ শতাংশ। যা ২০০৮ সালে ছলি ৭৬.১৯ শতাংশ, ২০০৯ সালে ৭২.৭৮ শতাংশ, ২০১০ সালে ৭৪.২৮ শতাংশ, ২০১১ সালে ৭৫.০৪ শতাংশ, ২০১২ সালে ৭৮.৬৭ শতাংশ, ২০১৩ সালে ৭৪.৩০ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৭৮.৩৩ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৬৯.৬০ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে ছলি ৭৪.৭০ শতাংশ। এ বছর এইচএসসতিে ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন পরীর্ক্ষাথী জপিএি ফাইভ পয়েছে,ে যা ২০১৬ সালে ছলি ৫৮ হাজার ২৭৬ জন। প্রায় ২০ হাজার পরীর্ক্ষাথী এবার জপিএি ফাইভ কম পয়েছে।ে ২০১৫ সালে জপিএি ফাইভ পয়েছেলি ৪২ হাজার ৮৯৪ জন। এ বছর ৮ হাজার ৭৭১টি শক্ষিাপ্রতষ্ঠিানরে মোট ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৭০ জন পরীর্ক্ষাথী অংশগ্রহণ কর।ে এর মধ্যে সাধারণ শক্ষিা র্বোডরে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৮ জন, মাদ্রাসা শক্ষিা র্বোডরে ৯৬ হাজার ৮০২ এবং কারগিরি শক্ষিা র্বোডরে ৯৭ হাজার ০১৪ জন। তন্মধ্যে সাধারণ শক্ষিা র্বোডরে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৯৪২ জন, মাদ্রাসা শক্ষিা র্বোডরে ৭৪ হাজার ৫৬১ জন এবং কারগিরি শক্ষিা র্বোডরে ৭৮ হাজার ৯০৪ জন উর্ত্তীণ হয়। মোট ৫৩২টি শক্ষিাপ্রতষ্ঠিানে শতভাগ পরীর্ক্ষাথী উর্ত্তীণ হয় এবং ৭২টি শক্ষিাপ্রতষ্ঠিানে উর্ত্তীণরে হার শূন্য। গত ১০ বছররে পাসরে বন্যা এবং জপিএি ফাইভরে প্লাবণরে পরে এবাররে পরীক্ষায় উর্ত্তীণ ও জপিএি ফাইভরে ঘাটততিে আর্শ্চাযান্বতি না হওয়ার পরার্মশ দয়িছেনে শক্ষিামন্ত্রী। তাঁর মতে পাসরে হার কম ও বশেি হওয়া তমেন ববিচ্যে নয়। গত চার বছররে পরীক্ষা-নীতি ও মূল্যায়ন পদ্ধতি নয়িে গবষেণার চূড়ান্ত ফসল এবাররে পরীক্ষার ফলাফল। আমাদরে আপত্তটিি এখানইে। আমাদরে কোমলমতি সন্তানরা কোন গবষেণাগাররে ‘গবষেণার বষিয়বস্তু’ হতে পারে না। একবার পাসরে বন্যা বইয়ে দবেনে- আবার রাশ টনেে ধরে পরীর্ক্ষাথীদরে খরায় ভোগাবনে- এটা কোন শক্ষিানীতরি নমুনা হতে পারে না। এদশেে বহু শক্ষিা কমশিন হয়ছে,ে কন্তিু আজ র্পযন্ত একটি বলষ্ঠি, সময়োপযোগী, র্কাযকর শক্ষিানীতি হয়ন।ি হাজার হাজার ছলে-েময়েে উচ্চ-মাধ্যমকিরে পরে র্ভত-ির্দুভক্ষিে ভোগ।ে অভভিাবক ও শক্ষর্িাথীর সে দুঃসময়ে কউে পাশে থাকে না। হতাশাগ্রস্ত এসব তরুণদরে ব্যাপারে রাষ্ট্রকে ভাবতে হব।ে শক্ষিাকে দয়া করে পণ্য বানাবনে না। জ্ঞানরে স্ফুরণ ঘটয়িে একজন আর্দশ মানুষ হওয়ার জন্যই শক্ষিা। চাকর-িবাকরি তার র্পাশ্ব প্রতক্রিয়িা। ভয়-ডরহীনভাবে আমাদরে সন্তানদরে পরীক্ষা দয়োর সুযোগ করে দতিে হব।ে প্রথম শ্রণেী থকেে পাঠ্যবইয়রে বোঝা কময়িে এনে যুক্তসিঙ্গত করতে হব।ে মানবকি বভিাগে বর্পিযয়রে মূল কারণ ইংরজেী। এদকিে সঠকি দৃষ্টি দয়ো ও র্কাযকর পদক্ষপে নয়ো প্রয়োজন। শক্ষিাপ্রতষ্ঠিান বাড়াতে হব।ে তবে বসেরকারি শক্ষিাপ্রতষ্ঠিানরে বশিষে করে কলজে বশ্বিবদ্যিালয়রে নামে বলগাহীন বাণজ্যি বন্ধ করতে হব।ে রাজধানীসহ সকল বভিাগীয় ও জলো শহরে উন্নতমানরে স্কুল-কলজে প্রতষ্ঠিা করা প্রয়োজন। রাজধানীতে ১০০টি ওর্য়াডে বয়িশোদি অনুষ্ঠান করার জন্য ১০০টি কমউিনটিি সন্টোর আছ,ে কন্তিু ১০০টি ভাল মানরে বদ্যিালয় নইে। অচরিইে রাজধানীসহ বভিাগীয় ও জলো শহরে ভকিারুন নসিা নুন-ল্যাবরটেরি স্কুল এবং নটর ডমে কলজে, ঢাকা কলজেরে মতো আরও উন্নত শক্ষিাপ্রতষ্ঠিান গড়ে তোলা প্রয়োজন। শক্ষিকদরে সুযোগ-সুবধিা বাড়াতে হব।ে প্রয়োজনে শক্ষিকদরে স্পশোল স্কমিে আনতে হব।ে মনে রাখতে হব-ে শক্ষিকরা র্কমচারী নয়, তারা মানুষ গড়ার কারগির। স্কুলরে পরচিালনা র্পষদরে নর্বিাচন যে কোন জাতীয় নর্বিাচনরে প্রচারণাকওে হার মানায়। শক্ষিা ক্ষত্রেে রাজনতৈকি প্রাধান্য ও র্দুবৃত্তপনা বন্ধ করতে হব।ে ন্যূনতম স্নাতক পাস না হলে কউে শক্ষিা প্রতষ্ঠিানরে পরচিালনা র্পষদরে সদস্য হতে পারবে না। প্রশাসনকে শক্ষিকদরে সম্মান-শ্রদ্ধা করা শখিতে হব।ে শক্ষিকদরে সঙ্গে অন্য র্কমর্কতা-র্কমচারীর মতো আচরণ করলে চলবে না। তাকে বুঝতে হব-ে আমি আজ প্রশাসনরে এ র্পযায়ে এসছেি একজন শক্ষিকরে কারণইে। সটো প্রাথমকি স্কুলরে শক্ষিক হোক বা বশ্বিবদ্যিালয়রে শক্ষিক। তবে র্সবাগ্রে শক্ষিা প্রশাসনকে র্দুনীতমিুক্ত করতে হব।ে শক্ষিা প্রশাসনরে প্রতটিি স্তরে র্দুনীতরি যে ভয়াবহ চত্রি আমরা অহরহ পত্রকিায় দখে,ি তা সত্যইি উদ্বগেরে। নজিে সৎ হলে কি হব-ে যদি সাঙ্গপাঙ্গ-পারষিদর্বগ র্দুনীততিে আকণ্ঠ নমিজ্জতি থাক।ে তনিইি সত্যকিাররে সৎÑ যনিি তার পারপর্িাশ¦কে সৎ রাখতে পারনে। সুজন পতিার সন্তান র্দুজন হলে তার দায়ভার পতিাকইে বহন করতে হয়। শক্ষিকদরে শক্ষিাবহর্ভিূত সরকারী র্কমসূচীতে যত কম যুক্ত করা যায় ততই মঙ্গল। পাঠদান একটি কঠনি শ্রম, সটেি প্রাইমারি র্পযায়ে হোক আর বশ্বিবদ্যিালয় র্পযায়ইে হোক। শক্ষিকদরে বশ্রিামরে প্রয়োজন রয়ছে।ে এছাড়া মডলে টস্টেরে নামে বভিন্নি পরীক্ষা পরহিার করতে হব।ে পএিসসি এবং জএেসসি না থাকাই ভাল। বরং পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রণেীতে বৃত্তরি সংখ্যা ও র্অথমূল্য বৃদ্ধি করা যতেে পার।ে তাতে অভভিাবক এবং শক্ষর্িাথী উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি বশেি উৎসাহী হব।ে বছররে প্রথম দনিইে শক্ষর্িাথীদরে হাতে নতুন বই তুলে দতিে হব এমন কোন বাধ্যবাধকতা নইে। বরং দু’চার দনি দরেি হলওে নর্ভিুল বই প্রদান নশ্চিতি করা বাঞ্ছনীয়। আশা করি শক্ষিামন্ত্রী এসব বষিয় নয়িে ভাববনে। আশা কর,ি এবাররে ফল বর্পিযয় হতে শক্ষিা মন্ত্রণালয় শক্ষিা নবে।ে বগিত বছরগুলোর ভুলরে মাশুল টানতে হব।ে পাঠ্যসূচী, শক্ষিা প্রদান পদ্ধত,ি পরীক্ষা পদ্ধত,ি উত্তরপত্র মূল্যায়ন পদ্ধতি নয়িে একটি সুষ্ঠু নীতমিালা প্রয়োজন। যত দ্রুত এটি করা যাব-ে ততই মঙ্গল। সকল শক্ষিা পদ্ধতরি মাঝে সমন্বয় সাধনর্পূবক একটি যুগোপযোগী শক্ষিানীতি আজ সময়রে দাব।ি আমরা চাই না, আমাদরে সন্তানদরে একবার গাছরে মগডালে উঠয়িে দয়িে আরকেবার নচিে থকেে মই সরয়িে নয়ো হব।ে আমরা চাই -তারা নজি যোগ্যতায় ওপরে উঠুক যতটুকু ওঠা যায়। লখেক : সাবকে প্রধান তথ্য র্কমর্কতা
×