
ব্লাড ক্যান্সার বা রক্তের ক্যান্সার হলো এমন একটি রোগ যা শরীরের রক্তকণার উৎপাদন, কার্যকারিতা ও বৃদ্ধি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। এই ক্যান্সার মূলত হাড়ের মজ্জায় (bone marrow)—যেখানে রক্তকণা তৈরি হয়—সেখানে শুরু হয়। রক্তের প্রধান তিনটি কোষ: লোহিত কণিকা, শ্বেত কণিকা ও প্লেটলেট—সবগুলোই আক্রান্ত হতে পারে।
ব্লাড ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ
-
দীর্ঘদিন ধরে জ্বর, দুর্বলতা ও অবসাদ
-
ওজন কমে যাওয়া
-
সহজে রক্তপাত বা চামড়ায় কালশিটে দাগ
-
হাড় বা জয়েন্টে ব্যথা
-
ঘন ঘন ইনফেকশন
-
গলা, কাঁধ বা বগলের নিচে লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া
-
শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা
ব্লাড ক্যান্সারের ধরণ
১. লিউকেমিয়া (Leukemia)
হাড়ের মজ্জা ও রক্তে অস্বাভাবিক শ্বেত কণিকার অপ্রতিরোধ্য বৃদ্ধির ফলে এটি হয়।
২. লিম্ফোমা (Lymphoma)
লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমে (যা রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে) ক্যান্সার হলে একে লিম্ফোমা বলে।
৩. মায়েলোমা (Myeloma)
প্লাজমা কোষ নামক শ্বেত কণিকার এক প্রকারে ক্যান্সার হয়।
ঝুঁকির কারণ
-
বংশগত জেনেটিক প্রবণতা
-
তেজস্ক্রিয়তা বা বিষাক্ত কেমিক্যালের সংস্পর্শ
-
কিছু ভাইরাল ইনফেকশন (যেমন: HIV)
-
ধূমপান
-
দুর্বল ইমিউন সিস্টেম
-
বয়স (বয়স বাড়লে ঝুঁকি বাড়ে)
নির্ণয় পদ্ধতি
-
সিবিসি (CBC) বা পূর্ণ রক্তপরীক্ষা
-
বায়োপসি (হাড়ের মজ্জা থেকে নমুনা)
-
ইমেজিং স্ক্যান (CT/PET scan)
চিকিৎসা পদ্ধতি
-
কেমোথেরাপি
-
ইমিউনোথেরাপি বা টার্গেটেড থেরাপি
-
রেডিয়েশন থেরাপি
-
স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট
সতর্কতা ও প্রতিরোধ
-
ধূমপান থেকে বিরত থাকুন
-
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন
-
পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিন
-
নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করুন
-
ঝুঁকি থাকলে হেমাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন
সানজানা