
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘হেলথ পলিসি ওয়াচ’-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা। একসময় যিনি অটিজম ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে পরিচিতি পান, তিনিই এখন আছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। কারণ, তার পদে বসার যোগ্যতা ও প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিল। এবার তা আরও জোরালো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা ডা. আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন মনে করেন, সায়মা ওয়াজেদের এ পদে ফেরা এখন প্রায় অসম্ভব। তার ভাষায়, “যে ইমেজটা তৈরি হয়েছিল, সেটা এখন ভেঙে গেছে। শুরু থেকেই কিছুটা বিতর্ক ছিল। অনেকেই বলছেন, তাকে শুধু মনোনয়নই নয়, বিশেষ ব্যবস্থায় নির্বাচিতও করা হয়েছিল।”
২০২৪ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের মধ্যে ৮টি ভোট পেয়ে তিনি পাঁচ বছরের জন্য আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন। কিন্তু তখন থেকেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছিল তার পেশাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে। মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম নিয়ে কাজ করলেও এরকম আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে অতীতে কখনো এমন ব্যাকগ্রাউন্ডের কাউকে দেখা যায়নি।
এমন প্রেক্ষাপটে আলোচনায় উঠে আসে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের ভূমিকা। ডা. জাকির হোসেনের মতে, “ভারতের প্রভাব ছিল অত্যন্ত বড়। নির্বাচনের সময় আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম। আমি দেখেছি, কিভাবে ভারত সরকার নানা পথে প্রভাব বিস্তার করেছে— যা ঠিক আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ছিল না।”
সব মিলিয়ে সায়মা ওয়াজেদকে নিয়ে যেভাবে বিতর্ক ও অভিযোগের পাহাড় জমেছে, তাতে তার WHO-তে ফিরে আসার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব প্রশ্নের কেন্দ্রে আছে একটি বড় প্রশ্ন— প্রতিবেশী ভারতের চাপেই কি তাকে এই পদে বসানো হয়েছিল?
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/YJyPM4knEw4?si=iQrkwJuCvltBOIYp
এম.কে.