
ছবি: সংগৃহীত
পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ঢাকা মহানগর উত্তর-এর গুলশান জোনের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ও মহানগর উত্তর-এর প্রধান সমন্বয়কারী আকরাম হুসেইন বলেন, "চাঁদা না পেয়ে যুবদলের সন্ত্রাসীরা যেভাবে পাথর মেরে সোহাগকে হত্যা করেছে, তা শুধু বর্বরতা নয়—পুরো জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। এই ভিডিওচিত্র ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।"
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, "এই নৃশংসতার মাধ্যমে যুবদল কী বার্তা দিতে চায়, তা বিএনপিকেই পরিস্কার করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে যারা আবার ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর, তাদের আসল চেহারা সোহাগ হত্যার মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে।"
আকরাম হুসেইন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে বলেন, “লন্ডনে বসে চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষকতা না করে দেশে ফিরে এসে বিএনপিকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের কবল থেকে উদ্ধার করুন। নইলে বিএনপির পরিণতি জুলাইয়ে আওয়ামী লীগের মতোই হবে — যা আমরা কেউই চাই না।”
মৌলিক সংস্কারের দাবি বিক্ষোভে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনসিপির সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল নতুন রাজনৈতিক কাঠামো গঠন। কিন্তু মৌলিক সংস্কারের কোনো অগ্রগতি না থাকায় নতুন করে সংকট তৈরি হয়েছে। বিএনপি গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম শক্তি হলেও পরিবর্তনের প্রয়াসে তাদের ভূমিকা হতাশাজনক। এখন নতুন এক মাফিয়া শ্রেণির উত্থান ঘটছে—জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই চক্র প্রতিরোধ করতে হবে।”
আরেক বিশেষ অতিথি, এম এম শোয়াইব বলেন, “আমরা এক ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়েছি, আরেক ফ্যাসিস্টকে বসানোর জন্য নয়। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে প্রশাসন এখনও নির্দিষ্ট একটি দলের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখছে। এটি জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসীর মাহমুদ, গুলশান জোনের প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট থানা নেতৃবৃন্দ।
মিরপুরেও বিক্ষোভ একই দিন মিরপুর ১০ নম্বর চত্বরে এনসিপির মিরপুর জোনের উদ্যোগে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সোহাগ হত্যার বিচার এবং মৌলিক সংস্কারের দাবিতে এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
আসিফ