
ছবি: সংগৃহীত
আজকের শিক্ষা জগতে ছাত্রছাত্রীরা শুধু পড়াশোনাই করছে না, তারা জীবনযাত্রার খরচও নিজেই সামলাচ্ছে। শিক্ষার খরচ বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক স্বাধীনতার চাপের কারণে সাইড হাসল (অতিরিক্ত আয় করার পথ) এখন আর বিকল্প নয়, বরং অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ভালো খবর হল, সব ধরনের সাইড হাসল শুরু করতে টাকা লাগে না। শুধু একটি ল্যাপটপ, দক্ষতা বা স্মার্টফোন থাকলেই যেকোনো ছাত্রছাত্রী সহজে আয় শুরু করতে পারে।
নিচে ৯টি বাস্তবসম্মত, প্রমাণিত ও বিনিয়োগ ছাড়া শুরু করার যোগ্য সাইড হাসলের তালিকা দেওয়া হলো, যা যেকোনো জায়গা থেকে, যেকোনো সময়ে করা যায়—
১. ফ্রিল্যান্স রাইটিং ও এডিটিং
যদি ভাষায় দক্ষতা থাকে ও ধারণা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারেন, তাহলে ফ্রিল্যান্স রাইটিং শুরু করা সবচেয়ে সহজ। ছাত্র হিসেবে আপনি ব্লগ, আর্টিকেল, মার্কেটিং কনটেন্ট বা রেজুমে ও একাডেমিক পেপার এডিট করতে পারেন। Fiverr, Upwork, LinkedIn-এর মতো প্ল্যাটফর্মে কাজ পাওয়া যায়।
২. অনলাইন টিউটরিং
যদি কোনো বিষয়ে ভালো হন বা বুঝিয়ে বলতে পারেন, অনলাইন টিউটরিং করতে পারেন। Preply, Superprof, Wyzant-এর মতো সাইটে রেজিস্ট্রেশন করে কিংবা স্থানীয় বন্ধু বা ছোট ভাইবোনদের পড়াতে শুরু করতে পারেন।
৩. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
অনেক ছাত্রছাত্রীই ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, টিকটক ব্যবহার করেন। যদি এই প্ল্যাটফর্মগুলো পরিচালনায় দক্ষ হন, ছোট ব্যবসায়িক পেজ, ক্লাব বা কলেজ পেজ ম্যানেজ করতে পারেন। Buffer, Meta Business Suite-এর মতো টুল ব্যবহার করে কাজ করতে পারবেন।
৪. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনি কোনো পণ্য বা সেবার প্রচার করে কমিশন আয় করতে পারেন। Amazon, Coursera, Notion, Canva-এর মতো প্রতিষ্ঠানের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিন। সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ বা ইউটিউবে পণ্যের ভালো দিক তুলে ধরুন।
৫. রেজুমে ও প্রোফাইল সার্ভিস
বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী ভালো রেজুমে বা লিংকডইন প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন না। আপনি যদি দক্ষ হন, বন্ধু-বান্ধবদের সাহায্য করে শুরু করতে পারেন।
৬. ভয়েসওভার ও অডিওবুক ন্যারেশন
স্পষ্ট ও আকর্ষণীয় কণ্ঠ থাকলে ভয়েসওভার কাজ করতে পারেন। অডিওবুক, শিক্ষামূলক ভিডিও বা ইউটিউবের জন্য স্ক্রিপ্ট পড়ার কাজ পাবেন। কোনো স্টুডিও লাগবে না, শুধু একটি ভালো মাইক্রোফোন যুক্ত স্মার্টফোনই যথেষ্ট।
৭. স্টাডি নোট বা গাইড বিক্রি
আপনার ক্লাস নোট বা গাইড সঠিকভাবে সাজিয়ে Stuvia, Nexus Notes, Studypool-এর মতো প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন।
৮. ট্রান্সক্রিপশন বা অনুবাদ সেবা
দ্রুত টাইপ করতে পারেন এবং শ্রবণ ক্ষমতা ভালো হলে ট্রান্সক্রিপশন কাজ করতে পারেন। Rev, TranscribeMe, GoTranscript-এর মতো সাইটে কাজ পাওয়া যায়। একইভাবে একাধিক ভাষায় দক্ষ হলে অনুবাদ কাজও করতে পারেন।
৯. ক্যাম্পাস ভিত্তিক ছোটখাটো সেবা
ক্যাম্পাসে নিজের ছোটখাটো দক্ষতা কাজে লাগিয়ে যেমন ডরম রুম সাজানো, পাওয়ারপয়েন্ট তৈরি, অ্যাসাইনমেন্ট ফরম্যাটিং, ছবি তোলা বা পোস্টার ডিজাইন করতে পারেন। বন্ধু ও সহপাঠীদের মাধ্যমে কাজ পেয়ে আয়ের সুযোগ আছে।
আবির