
ছবি: সংগৃহীত
নতুন সিম দিলেই যদি ফোনে “সিম নট সাপোর্টেড” বা “নেটওয়ার্ক লকড” লেখা আসে, তাহলে বুঝতে হবে ফোনটি নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের লকড।
বিশেষ করে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের আগে কেনা অনেক ফোনেই এই লক থাকত। তবে এখন সহজ নিয়মে আনলক করা যায়, একদম বৈধভাবে।
কীভাবে আনলক করবেন?
১. নেটওয়ার্ক অপারেটরের মাধ্যমে (সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি):
প্রতিটি অপারেটরের নিজস্ব পদ্ধতি আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিনামূল্যে আনলক করে দেয়।
প্রয়োজন হবে ফোনের IMEI নম্বর।
যেভাবে জানবেন: *#06# ডায়াল করুন।
অপারেটরের ওয়েবসাইট বা অ্যাপে আবেদন করলেই হয়।
২. বিশ্বস্ত অনলাইন সার্ভিস থেকেও সম্ভব:
বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট থেকে আনলক কোড কিনতে পারেন। খরচ সাধারণত ১০ পাউন্ডের মতো।
তবে এতে ফোনের ওয়ারেন্টি বাতিল হতে পারে, সাবধানে সিদ্ধান্ত নিন।
বড় অপারেটরগুলোর আনলক নীতিমালা (সংক্ষেপে):
অপারেটর | আনলক পদ্ধতি |
---|---|
Three | ২০১৩ সালের পরের ফোনে সাধারণত লক থাকে না। |
O2 | ‘My O2’ অ্যাপ/ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি আনলক করা যায়। |
Vodafone | ওয়েবসাইট/কাস্টমার কেয়ার থেকে আনলক কোড দেওয়া হয়। |
EE | বেশিরভাগ ফোন আগেই আনলকড; প্রয়োজন হলে চেক করুন। |
Virgin, Tesco, iD Mobile, Sky Mobile | বেশিরভাগ ফোন আনলকড থাকে বা সহজে আনলক করা যায়। |
নেটওয়ার্ক লক আর iCloud/Google/Samsung অ্যাকাউন্ট লক (FRP) এক নয়।
‘জেলব্রেক’ বা অবৈধ সফটওয়্যার দিয়ে আনলক করলে ফোনের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে।
নেটওয়ার্ক লকড ফোন মানেই বিপদ নয়। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে সহজেই আনলক করা সম্ভব।
নিজে না পারলে, বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।
আবির