
ছবি: সংগৃহীত
পানিতে মিশে থাকা মাইক্রোপ্লাস্টিক ও ন্যানোপ্লাস্টিক আমাদের শরীরের জন্য বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে—এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। তবে আশার কথা হলো, সহজ একটি উপায়ে এসব ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
চীনের গুয়াংজু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও জিনান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন, শুধু পানি ফুটিয়েই এই ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা দূর করা সম্ভব। তাঁদের গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ ট্যাপের পানি মাত্র পাঁচ মিনিট ফোটালেই ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ন্যানোপ্লাস্টিক দূর করা সম্ভব। নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞান সাময়িকী এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি লেটারস-এ প্রকাশিত এই গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, এক লিটার বোতলজাত পানিতে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার প্লাস্টিক কণা থাকতে পারে, যার মধ্যে ৯০ শতাংশই ন্যানোপ্লাস্টিক। এই ক্ষুদ্র কণাগুলো খাবার ও পানির মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে এবং হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
জিনান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এডি জেং জানান, ‘বিশ্বের বহু মানুষই ট্যাপের পানি সরাসরি পান করে থাকেন। তারা না জেনেই প্রতিদিন মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণ করছেন। অথচ একটু সচেতন হলেই সহজেই এই বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।’
দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে, বিশেষ করে বাংলাদেশে, বহু মানুষই পানিকে ফুটিয়ে খান। ফলে এই অভ্যাসের মাধ্যমেই তারা অনেকটা নিরাপদ থাকেন বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। তবে বিশ্বজুড়ে বহু দেশেই এখনো পানি ফুটিয়ে খাওয়ার চল নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পানির উৎসভেদে (যেমন: ট্যাপ, নদী, বা বোতলজাত) এর মধ্যে থাকা প্লাস্টিকের মাত্রা ভিন্ন হতে পারে। তাই পানি ফুটিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলাই হতে পারে এক সহজ এবং কার্যকর প্রতিরোধমূলক উপায়।
সূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট।
রাকিব