
দৈনিক জনকণ্ঠ
ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী। শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ নাগেশ্বরী উপজেলা শাখা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কলেজ মোড় থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পুরো মিছিল জুড়ে ছিল ক্ষোভে ফুঁসে ওঠা স্লোগান-
- “চাঁদাবাজের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও!”
- “আমার ভাই মরলো কেন? তারেক জিয়া জবাব দে!”
- “হাসিনা গেছে যেই পথে -তারেক যাবে সেই পথে!”
- “টাকা তোলে পল্টনে
- টাকা যায় লন্ডনে!”
- “চাঁদা লাগলে চাঁদা নে, আমার ভাইকে ফেরত দে!”
- “আওয়ামী লীগ-বিএনপি ভাই ভাই, এই বাংলায় ঠাঁই নাই!”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, নাগেশ্বরী উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা জি. এম. এন. আনসার আলী রয়েল। তিনি বলেন, সোহাগ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে-এই দেশে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। অবিলম্বে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে খুনিদের বিচার করতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেনসহ ইসলামি আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন,এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকেই একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
সমাবেশের শেষ দিকে মাওলানা আনসার আলী রয়েল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নাগেশ্বরী ডি. এম. একাডেমি স্কুল মাঠে চলমান হস্ত ও কুটির শিল্প মেলা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় আগামী সোমবার (১৪ জুলাই) আমরা মেলা ভেঙে ফেলবো।
বিক্ষোভ ও সমাবেশে ইসলামি আন্দোলনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় শতাধিক শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিক অংশ নেন।
হ্যাপী