ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

মূল আসামিদের মামলায় বাদ দেওয়া ‘রহস্যজনক’ বলে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপির তিন সংগঠন

প্রকাশিত: ১৫:২৫, ১২ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৫:২৬, ১২ জুলাই ২০২৫

মূল আসামিদের মামলায় বাদ দেওয়া ‘রহস্যজনক’ বলে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপির তিন সংগঠন

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে সামনে প্রকাশ্যে মাথা থেঁতলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মূল আসামিদের অদ্যাবধি গ্রেপ্তার না করা এবং মামলার এজাহার থেকে মূল তিন আসামিকে বাদ দেওয়া ‘রহস্যজনক’ বলে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপির তিন সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

শনিবার সকালে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিন সংগঠনের পক্ষে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না এই প্রশ্ন তোলেন।

তিনি বলেন, “এই ঘটনায় যারা সরাসরি জড়িত, ভিডিও ফুটেজ ও সিসিটিভি ক্যামেরায় যাদের দেখা গেছে, আশ্চর্যজনকভাবে তাদেরকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়নি। যারা প্রাণঘাতী আঘাতগুলো করেছে, তারা অদ্যাবধি গ্রেপ্তারও হয়নি। এর কারণ আমাদের বোধগম্য নয়।”

“গণমাধ্যমে মামলার এজাহারে উল্লিখিত বাদীর মেয়ে বলেছেন, খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত তিন খুনিকে পুলিশ কৌশলে বাদ দিয়ে নিরপরাধ তিনজনকে আসামি করেছে। ঘটনার ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও খুনের প্রমাণাদি হাতে থাকার পরও অদ্যাবধি মূল আসামিদের গ্রেপ্তার না করা একটি বড় প্রশ্ন এবং রহস্য।”

মুন্না বলেন, “আপনাদের (গণমাধ্যমের) মাধ্যমে আমরাও জানতে চাই, কেনো এই তিন আসামিকে বাদ দিয়ে নতুন করে অন্যজনকে আসামি করা হলো—এটা খতিয়ে দেখা দরকার। আর ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার, কিন্তু প্রচারিত হয়েছে শুক্রবার। ঘটনা প্রচার দুই দিন পর কেন হলো, সেটাও তদন্ত করা উচিত।”

“আপনাদের মাধ্যমে আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে এই প্রশ্নটি পৌঁছে দিচ্ছি এবং এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে বুধবার এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ড এবং তার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে। দৃশ্যগুলো দেখে শিউরে উঠেছে সাধারণ মানুষ, তৈরি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ।

এই ঘটনায় শুক্রবার পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে। একই রাতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পাঁচজনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। 

সানজানা

×