ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ সফর বয়কটের পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা!

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২৫ জুলাই ২০১৭

বাংলাদেশ সফর বয়কটের পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘদিন বোর্ডের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। বিষয়টি বেতন ভাতার ক্ষেত্রে নতুন দাবি-দাওয়া। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) সেই প্রস্তাব মানেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। সে কারণে ঘোষণা অনুসারে এবার অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বাতিল করেছে। এবার স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারদের পালা। এই অচলাবস্থা সৃষ্টির পর সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সফর অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সামনে। আগামী ১৮ আগস্ট দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা তাদের। ইতোমধ্যে সোমবার সিএ প্রতিনিধি দল সফরের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা খতিয়ে দেখার জন্য বাংলাদেশ সফরে এসেছে। কিন্তু সোমবার অসি ক্রিকেটারদের ‘গোপন বৈঠকে’ সিনিয়র ক্রিকেটাররা বাংলাদেশ সফর বাতিলের পক্ষে রায় দিয়েছেন। যদি সফরের আগেই দাবি মেনে না নেয়া হয় সেক্ষেত্রেই এ সফর বয়কট করবেন তারা। সোমবার অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্মিথ এবং সহঅধিনায়ক ওয়ার্নার এসিএ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ্যালিস্টার নিকোলসনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন। আগের দিনও এসিএ চলমান সমস্যা নিরসনে সিএ’র সঙ্গে বৈঠক করেছিল। এই সময় বিশেষ এক কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলকে বাংলাদেশ সফরে পাঠানোর কথা আলোচনা হয়। কিন্তু ক্রিকেটাররা তাদের আগের দাবিতেই অনড় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই দাবি সিএ না মানা পর্যন্ত যেকোন সফর বয়কট করার পক্ষে ক্রিকেটাররা। এদিকে ভেন্যু ও হোটেলের সুযোগ-সুবিধা দেখতে সোমবার রাতেই বাংলাদেশে আসছে অস্ট্রেলিয়ার পর্যবেক্ষক দল। কিন্তু এর আগেই স্মিথরা তাদের অবস্থান সম্পর্কে দৃঢ়তা জানালেন। কারণ, সিরিজ বিষয়ে আলোচনা চললেও বেতন-ভাতা সংক্রান্ত চলমান সমস্যা নিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোন ধরনের সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি সিএ। ইতোমধ্যে দেশটির ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বাতিল করেছে। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অনেক আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছেন, তাদের দাবি না মানলে বাংলাদেশ সফর করবেন না। কিছুদিন ধরে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, দুই পক্ষের ঝামেলা নিরসনের সময় কাছাকাছি চলে এসেছে। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু শুক্রবার জানা যায়, ক্রিকেটারদের সঙ্গে নতুনভাবে আলোচনায় বসেও সমঝোতায় আসতে পারেনি সিএ। রবিবারের আলোচনাতেও ইতিবাচক কিছু বেরিয়ে আসেনি। তবে ক্রিকেটারদের এই নতুন সিদ্ধান্ত তখনই পাল্টে যাবে যদি সিএ তাদের দাবি মেনে নেয়। মূল সমস্যাটি লভ্যাংশের অংশীদারিত্ব নিয়ে। সিএ যে পরিমাণ আয় করে তার কিছু অংশ বর্ধিত বেতন-ভাতার সঙ্গে দাবি করেছে এসিএ ক্রিকেটারদের জন্য। কিন্তু বেতন-ভাতা বাড়ালেও আয়ের অংশ দিতে নারাজ সিএ। সমস্যাটা এখানেই। এ বিষয়ে ওয়ার্নার তার টুইটে লিখেছেন, ‘আমার মনে হয় না এই বিতর্ক নিরসনে খেলোয়াড়রা আর বাড়তি কিছু করতে পারে। আমরা তৃণমূল পর্যায়ের ক্রিকেটারদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিলিয়ন ডলার দাবি করতে পেরে নিজেদের গর্বিত মনে করছি।’ পেসার প্যাট কামিন্স লিখেছেন, ‘যেকোন বিষয়ের চেয়ে এখন খেলোয়াড়রা অনেক হতাশ। কারণ আমরা খেলতে চাই। তৃণমূল পর্যায়ে আমরা বাড়তি কিছু দাবি করেছি যেটাকে আমরা পরিচ্ছন্ন দাবি বলেই মনে করি।’
×