ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইমার্জিং টিমস কাপ, টানা দ্বিতীয় জয় পেল মুমিনুলবাহিনী

নাসিরের সেঞ্চুরিতে সেমিতে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২৯ মার্চ ২০১৭

নাসিরের সেঞ্চুরিতে সেমিতে বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নাসির হোসেন দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেললেন। কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একাডেমি মাঠে নেপালের বিপক্ষে ১১৫ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন। আর তাতে এসিসি ইমার্জিং টিমস কাপে বাংলাদেশ দলও টানা দ্বিতীয় জয় পেল। নেপালকে ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হারাল। এই জয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলাও নিশ্চিত করে ফেলল বাংলাদেশ। এরআগে হংকংকে ৮ উইকেটে হারিয়েছিল মুমিনুলবাহিনী। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের। জিতলেই ‘বি’ গ্রুপ থেকে অপরাজিত থেকে সর্বোচ্চ ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারে খেলবে বাংলাদেশ। অনুর্ধ-২৩ ক্রিকেটাররা খেলছেন এ টুর্নামেন্টে। তবে চারজন করে এ বয়সের ওপরে খেলতে পারবেন। জাতীয় দলের ক্রিকেটারও খেলতে পারবেন। তাই খেলানো হচ্ছে। তাতে করে বাংলাদেশ আপাতত বাজিমাতও করেছে। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে যেমন নাসিরের সেঞ্চুরির সঙ্গে মুমিনুল হকও ৬১ রানের জ্বলজ্বলে ইনিংস খেললেন। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশও ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান করে। জবাব দিতে নেমে স্পিনার রাহাতুল ফেরদৌস (৪/৪৫), পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন (৩/২২) ও আবুল হাসান রাজুর (২/৪০) বোলিং তোপে ৪২.৩ ওভারে ১৭৪ রানেই গুটিয়ে যায় নেপাল। হংকংকে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষেও সেই একই নৈপুন্য বজায় রেখেছে মুমিনুল হকের দল। ২৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চরম অগোছালো শুরু করে নেপাল। দলীয় এক রানেই অধিনায়ক গায়ানেন্দ্রা মালাকে হারায় তারা। নেপালের অধিনায়ককে নিজের শিকারে পরিণত করে আরো বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন বাংলাদেশ পেসার সাইফুদ্দিন। দলীয় ১২ রানের মাথায় আরেক ওপেনার সুনীল ধামালাকেও ফিরিয়ে দেন তরুণ এই পেসার। এমন শুরুর পর নেপাল যখন উল্টো পথে হাঁটছে এমন সময় ছোবল হানেন আরেক পেসার আবুল হাসান রাজু। তুলে নেন আসিফ শেখকে। এরপর বেশ ভাল প্রতিরোধই গড়েন নেপালের দুই ব্যাটসম্যান দিলীপ নাথ ও দীপেন্দ্র সিং আইরি। চতুর্থ উইকেটে ৯৮ রানের জুটি গড়েন তারা। এ সময় দিলীপ ৪১ রান করে ফিরলেও দীপেন্দ্র তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৫৬ রান। দিলীপ ও দীপেন্দ্র আউট হওয়ার পর সেভাবে আর লড়াই চালাতে পারেনি নেপাল। শেষেরদিকে বিনোদ ভা-ারি ৩৩ রান করেছেন ঠিকই, কিন্তু তাতে দলের হার ঠেকেনি। শেষ পর্যন্ত ১৭৪ রানে অলআউট হয় নেপাল। এরআগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটাও ভাল ছিল না। দলীয় আট রানের মধ্যেই দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও আজমীর আহমেদকে হারাতে হয় স্বাগতিকদের। এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ও নাজমুল হোসেন শান্তও ফিরে যান দ্রুত। ৩৩ রানে চার উইকেট হারানো দলকে পথ দেখাতে শুরু করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক ও নাসির হোসেন। পঞ্চম উইকেটে ৭৮ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। এ সময় ৭৮ বলে সাত চারে ৬১ রান করে বিদায় নেন মুমিনুল। তবে নাসির খেলতে থাকেন হাত খুলে। দলকে ছন্দে ফিরিয়ে তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরিও। শেষ পর্যন্ত তাকে ফেরাতে পারেনি নেপালের বোলাররা। ম্যাচসেরা নাসিরের ব্যাটেই মূলত ২৫৭ রানে পৌঁছায় বাংলাদেশ। নেপালের অভিনাশ কর্ন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। নাসিরের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়ে সেমিফাইনালে খেলাও নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। স্কোর ॥ বাংলাদেশ অনুর্ধ-২৩ দল ইনিংস ২৫৭/৯; ৫০ ওভার (নাসির ১০৯*, মুমিনুল ৬১, রাজু ২৯; কর্ন ৩/৪৬)। নেপাল ইনিংস অনুর্ধ-২৩ দল ইনিংস ১৭৪/১০; ৪২.৩ ওভার (আইরি ৫৬, নাথ ৪১; রাহাতুল ৪/৪৫, সাইফুদ্দিন ৩/২২, রাজু ২/৪০)। ফল ॥ বাংলাদেশ অনুর্ধ-২৩ দল ৮৩ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নাসির হোসেন।
×