
ছবিঃ সংগৃহীত
দক্ষিণাঞ্চলবাসীর চিকিৎসা সেবার একমাত্র নির্ভরযোগ্য চিকিৎসালয় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম, ভোগান্তি, হয়রানি, চিকিৎসক সংকট দূরকরণ এবং কাঠামোগত অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সমন্বিত সংস্কারের দাবিতে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টায় বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে দ্বিতীয় দিনের এ কর্মসূচিতে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা অংশগ্রহণ করেন।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন অনুষ্ঠিত সভায় ছাত্রনেতা মহিউদ্দিন রনি তার বক্তব্যে বলেন, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বাংলাদেশের সকল সরকারি হাসপাতালের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নিয়োগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি, ওষুধ সরবরাহসহ সর্বসাধারণের জন্য সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ দেশের সকল হাসপাতালগুলোতে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি করে স্বচ্ছ জবাবদিহিতামূলক টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।
পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনকে জনগণের ভোগান্তির কথা শুনে তদন্ত সাপেক্ষে পুনরায় সুপারিশ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জোরদার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ছাত্রনেতা সুলাইমা জান্নাত সিফা, হুসাইন আল সুহানসহ অন্যান্যরা। অবস্থান কর্মসূচিতে বরিশালের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
একই দাবিতে আগামীকাল (৩০ জুলাই) বেলা ১২টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচিতে বরিশালের সর্বস্তরের জনসাধারণকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর পূর্বে গত ২৮ জুলাই বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর থেকে একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সদর রোডের অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা মহিউদ্দিন রনি তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
দফাগুলো হলো—
১. বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বাংলাদেশের সকল সরকারি হাসপাতালগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নিয়োগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং ওষুধ সরবরাহসহ সর্বসাধারণের জন্য সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
২. স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ দেশের সকল হাসপাতালগুলোতে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি, দলীয় পরিচয়ের চিকিৎসকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ, ডিজিটাল অটোমেশন এবং স্বচ্ছ জবাবদিহিতামূলক টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।
৩. স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনকে জনগণের ভোগান্তির কথা শুনে তদন্ত সাপেক্ষে পুনরায় সুপারিশ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জোরদার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
মারিয়া