ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

চার বছরেও চালু হয়নি হাটহাজারীর ট্রমা সেন্টার, হতাশ স্থানীয়রা 

এম ওসমান গনি, হাটহাজারী

প্রকাশিত: ১৭:২৭, ২৯ জুলাই ২০২৫

চার বছরেও চালু হয়নি হাটহাজারীর ট্রমা সেন্টার, হতাশ স্থানীয়রা 

ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।

চার বছর ৩ মাস আগে উদ্বোধন হলেও চালু হয়নি হাটহাজারী ট্রমা সেন্টারের কার্যক্রম। ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি)'র বাস্তবায়নে ২১ সালের ৪ এপ্রিল প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতি এ ট্রমা সেন্টারটি উদ্বোধন করেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও তৎকালীন এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

জানা গেছে, ট্রমা সেন্টারটি দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সেবার লক্ষে উদ্বোধন হলেও ভবন ছাড়া কোন চিকিৎসা সরঞ্জাম, জনবল কিছুই নেই সেখানে। দৃষ্টিনন্দন ট্রমা সেন্টারের গেইটে ঝুলছে তালা। ট্রমা সেন্টারটি নির্মাণের পর হাটহাজারীতে প্রায় অর্ধ শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক আহত হয়। ঘটনার পর পর চিকিৎসা নিতে ট্রমা সেন্টারে আহতসহ অনেকে উপস্থিত হলেও হতাশ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফিরে যেতে হয় তাদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই বলেন, সাধারণত কোন প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন হলে কার্যক্রম শুরু হয়। তবে এখানে তার উল্টো। চিকিৎসা সেবার জন্য উদ্বোধন করা হয়েছে কিন্তু চিকিৎসার কোন সরঞ্জাম নেই, নেই কোন চিকিৎসক। শুধু দৃষ্টিনন্দন কয়েকটি ভবনই যেন দাঁড়িয়ে আছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাপস কান্তি মজুমদার জনকণ্ঠকে বলেন, ট্রমা সেন্টারের কাজ চলমানরত অবস্থায় জনবলের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখা হয়েছে। উদ্বোধনের পর পর লিখিতভাবেও জানানো হয়েছে প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য। প্রাতিষ্ঠানিক কোড, জনবল ও বিদ্যুৎ সংযোগ পেলে আমরা কার্যক্রম শুরু করতে পারবো। তবে কবে নাগাদ জনগণ ট্রমা সেন্টার থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে এ ব্যাপারে কিছুই জানাতে পারেননি তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, কয়েক বছরেও ট্রমা সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হবে কিনা সন্দেহ আছে। কারণ ভবন উদ্বোধনের পর সরকারি অনেক নিয়মনীতি রয়েছে। প্রথমে প্রশাসনের অনুমোদন, তারপর চেয়ার টেবিল, চিকিৎসা সরঞ্জাম তারপর জনবল। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ২০০৮ সালে একটি ট্রমা সেন্টার উদ্বোধনের এক যুগ পার হয়ে গেলেও এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী চিঠিপত্র আদান প্রদানেই দীর্ঘ সময় তথা বছরের পর বছর কেটে যায়। এদিকে ট্রমা সেন্টার কিংবা চিকিৎসা সেবার যে কোন ভবন উদ্বোধনের আগেই যাবতীয় সব কাজ সেরে সব কিছু প্রস্তুত করা উচিত বলে মনে করেন সাধারণ জনগণ। তাহলেই জনগণের মাঝে বিশ্বাস ফিরে আসবে। নিরাশ কিংবা হতাশ হয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর তথা সরকারের সমালোচনা করতে পারবেনা কেউ। হাটহাজারী ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসাসেবা দ্রুত চালু করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।

মিরাজ খান

আরো পড়ুন  

×