ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২

VivaCut: স্মার্টফোনেই সিনেমা তৈরির জাদু! প্রো-লেভেলের ভিডিও এডিটিং এখন হাতের মুঠোয়

প্রকাশিত: ০২:৪০, ২৫ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০২:৪১, ২৫ জুলাই ২০২৫

VivaCut: স্মার্টফোনেই সিনেমা তৈরির জাদু! প্রো-লেভেলের ভিডিও এডিটিং এখন হাতের মুঠোয়

ছবিঃ সংগৃহীত

বর্তমানে ডিজিটাল দুনিয়ায় ভিডিও কনটেন্ট রাজত্ব করছে। ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক—যেখানেই চোখ ফেরানো হোক না কেন, ভিডিও ছাড়া যেন সব ফাঁকা। কিন্তু এই প্রতিযোগিতার মঞ্চে টিকে থাকতে হলে শুধু ভিডিও করলেই হবে না, চাই নিখুঁত ও মনোমুগ্ধকর এডিটিং।

বেশিরভাগ প্রোফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যেমন জটিল, তেমনই দামী। আবার সবসময় ল্যাপটপ বা ডেস্কটপও হাতের কাছে থাকে না। তবে এই সমস্যার চমৎকার সমাধান নিয়ে এসেছে VivaCut—একটি মোবাইল অ্যাপ যা আপনার স্মার্টফোনকে পরিণত করবে ফুল-ফ্লেজড ভিডিও এডিটিং স্টুডিওতে!

VivaCut কী এবং কেন এটি ব্যতিক্রম?

VivaCut হলো চীনের Hangzhou Quwei Technology Company Limited এর তৈরি একটি মোবাইল ভিত্তিক ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। এর লক্ষ্যই হলো মোবাইল ইউজারদের হাতে প্রোফেশনাল ভিডিও এডিটিং সুবিধা তুলে দেওয়া।

অ্যাপটির ইন্টারফেস যেমন সহজ, ফিচার তেমনি সমৃদ্ধ। ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে আগ্রহী নতুন ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ কনটেন্ট ক্রিয়েটর—সবাই এর ফিচারগুলো উপভোগ করতে পারেন সমানভাবে।

VivaCut-এর বিশেষ ফিচারসমূহ

🔹 Multi-Layer Timeline – একাধিক ভিডিও, অডিও, টেক্সট ও ইফেক্টকে আলাদা আলাদা লেয়ারে এডিট করা যায়।
🔹 Chroma Key (Green Screen) – ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড সহজেই পাল্টে দিন, সিনেম্যাটিক দৃশ্য তৈরি করুন।
🔹 300+ VFX ও ট্রানজিশন – এক ক্লিকে পেশাদার ভিডিওর চেহারা।
🔹 4K High-Resolution Output – কোয়ালিটিতে কোনো আপোষ নয়।
🔹 Aspect Ratio Support – ইউটিউব, টিকটক, ইনস্টাগ্রামসহ সব প্ল্যাটফর্মের উপযোগী আউটপুট।
🔹 Sound Library – কপিরাইট ফ্রি মিউজিক ও সাউন্ড ইফেক্টের বিশাল সংগ্রহ।
🔹 Speed Control ও Reverse Playback – স্লো মোশন কিংবা টাইম ল্যাপ্স—সময় এখন আপনার হাতে।
🔹 Keyframe Animation – টেক্সট, লোগো বা ভিডিও এлементকে দিন প্রাণ।
🔹 Professional Masking ও Blending Mode – ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশে ফোকাস দিন বা মিশিয়ে ফেলুন শিল্পে।
🔹 Advanced Color Grading – কার্ভ টোনিং, কনট্রাস্ট, হিউ, স্যাচুরেশনসহ পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ।

কারা ব্যবহার করবেন VivaCut?

VivaCut উপযোগী—

  • ইউটিউবার, ইনফ্লুয়েন্সার, টিকটকার

  • ভ্লগার বা শর্ট ফিল্ম নির্মাতা

  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার

  • ছাত্রছাত্রী, যারা ভিডিও প্রেজেন্টেশন তৈরি করেন

  • এমনকি যারা শুধুমাত্র হবি হিসেবেও ভিডিও এডিট করতে চান

আপনার ফোন কি প্রস্তুত?

Android 5.0 বা তার উপরের ভার্সন প্রয়োজন VivaCut চালাতে। তবে ভালো পারফরম্যান্সের জন্য একটি শক্তিশালী প্রসেসর ও পর্যাপ্ত RAM থাকলে ভালো।

শেষ কথা

একটা সময় ছিল যখন প্রোফেশনাল ভিডিও এডিটিং মানেই ছিল বড় কম্পিউটার, দামী সফটওয়্যার। কিন্তু VivaCut সেই ধারা পাল্টে দিয়েছে। এখন আপনার হাতের মোবাইলই হতে পারে একটি সিনেমা তৈরির শক্তিশালী হাতিয়ার।

আপনার কনটেন্টকে দিন নতুন রূপ, নতুন মাত্রা—VivaCut-এর মাধ্যমে। একবার ব্যবহার করে দেখুন, মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না!

VivaCut অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারেন গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপেল অ্যাপ স্টোর থেকে।

সূত্রঃ টেকটিউনস

ইমরান

×