ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

ঘুমালেই ভালো রেজাল্ট: বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ৮টি কারণ

প্রকাশিত: ০০:৫২, ২৬ জুলাই ২০২৫

ঘুমালেই ভালো রেজাল্ট: বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ৮টি কারণ

ছবি : সংগৃহীত

পর্যাপ্ত পড়াশোনা তো করছেন, কিন্তু রেজাল্ট আশানুরূপ হচ্ছে না? সমস্যার মূল হতে পারে ঘুমের ঘাটতি। সাম্প্রতিক নানা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উঠে এসেছে, পর্যাপ্ত ঘুম শুধুমাত্র শরীরকে বিশ্রাম দেয় না, বরং পরীক্ষার পারফরম্যান্স বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্ক পড়া তথ্যকে সাজিয়ে রাখে, মানসিক চাপ কমায়, মনোযোগ বাড়ায় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা উন্নত করে। এখানে তুলে ধরা হলো ঘুমের এমনই ৮টি উপকারিতা, যা সরাসরি আপনার পরীক্ষার নম্বর বাড়াতে সহায়তা করে:


১. স্মৃতি শক্তি বাড়ায়
ঘুমের সময় মস্তিষ্ক নতুন তথ্য সংরক্ষণ করে। ফলে পরীক্ষার সময় পড়া বিষয়গুলো সহজে মনে পড়ে।

২. মনোযোগ থাকে তীক্ষ্ণ
ঘুমে বিশ্রাম পাওয়া মস্তিষ্ক বেশি ফোকাসড থাকে। এতে করে প্রশ্ন পড়া ও বুঝতে কম সময় লাগে, ভুলও হয় কম।

৩. সমস্যার সমাধানে দক্ষতা বাড়ায়
ঘুম মস্তিষ্কের সংযোগ উন্নত করে, যা সৃজনশীলভাবে জটিল প্রশ্নের সমাধান করতে সাহায্য করে।

৪. সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ে
ঘুমের অভাবে আমরা বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। পর্যাপ্ত ঘুমে চিন্তা-ভাবনা করে যুক্তিসঙ্গত উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়।

৫. মানসিক চাপ কমায়
ভালো ঘুম পরীক্ষার আগের উদ্বেগ ও আতঙ্ক কমিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।

৬. পড়া দীর্ঘস্থায়ীভাবে মনে থাকে
শুধু মুখস্থ নয়—ঘুম পড়া তথ্যকে দীর্ঘমেয়াদে মনে রাখতে সাহায্য করে, ফলে অপ্রত্যাশিত প্রশ্নেও উত্তর দেওয়া যায়।

৭. তথ্য প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত হয়
ঘুমে মস্তিষ্কের রিফ্রেশিং হয়, ফলে পরীক্ষার সময় দ্রুত চিন্তা করা ও লেখা সম্ভব হয়।

৮. কর্টিসল হরমোন কমায়
পর্যাপ্ত ঘুম মানেই স্ট্রেস হরমোন কমে যায়, ফলে পরীক্ষার সময় মাথা ঠাণ্ডা রেখে পারফর্ম করা যায়।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় শুধু পড়া নয়, ঘুমকেও দিতে হবে সমান গুরুত্ব। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করলে পড়াশোনার মান যেমন বাড়বে, পরীক্ষার ফলাফলও হবে আরও উজ্জ্বল।

🛌 স্মার্ট ছাত্রদের গোপন টিপস একটাই—পড়ো আর ঘুমাও, দুইটাকেই গুরুত্ব দাও!

Mily

×