ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ০০:০৫, ২১ মে ২০২৫; আপডেট: ০০:০৭, ২১ মে ২০২৫

সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল

ছবি: সংগৃহীত।

অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে ‘কালো ছায়া’ দেখছেন উল্লেখ করে যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক সভায় থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে নতুন একটা সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, যে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবার এবং সত্যিকার অর্থে ফ্যাসিবাদ মুক্ত যে একটি আধুনিক বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করবার, সেখানেও আমরা দেখি একটা কালো ছায়া এসে দাঁড়িয়েছে। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়া, জনগণের যে অধিকার সেই অধিকার থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করা এবং ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবার একটা পাঁয়তারা শুরু হয়েছে।

আবার বিভাজনের রাজনীতি শুরু হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখানে গোত্রে গোত্রে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরস্পর মুখোমুখি করার একটা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, কিছু মানুষ যারা সরকারের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে- অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে ভিন্নদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, ভিন্নখাতে তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। 

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির উপর সব সময় গুরু দায়িত্ব এসে পড়ে, সেই দায়িত্বটি হচ্ছে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবার দায়িত্ব, সেই দায়িত্বটি হচ্ছে বাংলাদেশ আবার নতুন করে গড়ে তুলবার দায়িত্ব, সেই দায়িত্ব হচ্ছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবার জন্য কাজ করা শুরু করেছিলেন, এখন তরুণ নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নতুন স্বপ্নের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বাংলাদেশ এবং দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলোকে বাস্তবায়িত করবার জন্য আজকে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে অত্যন্ত সজাগ ও সচেতনভাবে তাদের কাজ করতে হবে এবং যেকোন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা যেনো আর কখনো কেউ কেড়ে নিতে না পারে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কেউ যাতে বিনষ্ট করতে না পারে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কেউ যাতে আর কখনো ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার দিয়ে দাবায়ে রাখতে না পারে, সেভাবে বিএনপির প্রতিটি কর্মীকে আজকে সেই ভূমিকা পালন করতে হবে। এই ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আজকে শোক নয়, আমরা শোককে সমস্ত শক্তি পরিণত করতে চাই।

যৌথ সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
 

নুসরাত

×