.
সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুততার সঙ্গে। শিক্ষা থেকে অর্থনীতি, রাজনীতিতে তো অনেকখানি। সেখানে খেলার আঙিনায়ও এগিয়ে যাওয়ার ইতিবৃত্ত আজ আর গল্প নয়। কঠিন বাস্তবের মাটিতে পা রাখা নারী ক্রীড়াবিদরা আজ সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে দেশকে শুভ বার্তায় নাড়িয়ে দিচ্ছে। গৃহবন্দি নারীরা যবে থেকে গুটি গুটি পায়ে শিক্ষার আলোকিত জগতে পা রাখে সন্তর্পণে, সচেতন সাবধানতায় তেমন সময় থেকে আরও কিছু বাস্তব কার্যক্রমে তাদের দক্ষতা প্রদর্শন আধুনিকতার নির্মাল্য। তাই কঠিন ফুটবল নারীর কোমল হাতের পরশে জয়ের মালা গাঁথা তাও যেন মানুষের মর্যাদায় কয়েক ধাপ পূর্ণ করা। পুতুল খেলার মধ্য দিয়ে যাদের শৈশবের স্মৃতি জড়ানো এক অনবদ্য স্বপ্নের হাতছানি। সেখানে শক্ত ফুটবল তার মর্যাদায় মহিয়ান হয়ে দেশের জন্য গৌরবময় অধ্যায় তৈরি করবে তা ভাবাই কঠিন। সেটাই আজ বাস্তবের সফল কৃতিত্বের অভাবনীয় পাওয়া। হিমালয় কন্যা নেপালের পাদদেশে কঠিন ভূমিতে সদর্প বিচরণে বঙ্গললনাদের যে দুঃসাহসিক অভিযান তা সত্যিই চমকপ্রদ এবং অনন্য জয়মাল্যও বটে। হিমালয় পর্বতের নিকটবর্তী নেপাল কন্যাদের জীবন ও খেলায় নতুন সময়ে আলিঙ্গন করার ইতিবৃত্তও কঠিন এক বাতাবরণ। জন্ম থেকেই যারা শক্ত মাটিতে পা ফেলে জীবন গড়ার পালাক্রমে এগিয়ে যায় তারা সত্যিই হিমালয় কন্যার মর্যাদায় অভিষিক্ত হওয়ার মতোই। কিন্তু নরম উর্বর পলিমাটির সিক্ত সোঁদা গন্ধে আবহমান বাংলার যে রূপ শৌর্য তা বরেন্দ্র ভূমির অপার মহিমা। সেই নরম কোমল মৃত্তিকায় তৈরি হওয়া বঙ্গললনা স্বভাবত আর প্রকৃতিগতভাবেই স্পর্শকাতর আর নমনীয় কমনীয় তো বটেই। এই প্রথমবার নয় আগেও পর্বতের চূড়ায় উঠে দেশকে বিজয়মাল্যে শিরোপা উপহারে সিক্ত করেছেন সাবিনা, মনিকা আর ঋতুপর্ণা চাকমা। সানন্দে অবলীলায় দেশের গলায় পরিয়ে দিলেন অপরাজিত এক বিজয়মাল্য। সাফ নারী চ্যাম্পিয়ানশিপ অর্জন করা সাবিনা-ঋতুপর্ণরা দ্বিতীয়বারের মতো অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের বিজয় গাঁথায় দেশের যে মানমর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখলেন সেটাও ধারাবাহিক ইতিহাসের অনন্য সফলতা। এমন কঠিন বিজয়ের আগে কত কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে উর্বর পলিমাটির কোমল মেয়েদের। ধনে ধান্যে পুষ্পে ভরা ফল আর ফুলের শোভাবর্ধনে ফসলি খেতের যে অবারিত সম্ভার তাও এই শাশ^ত বঙ্গভূমির চিরায়ত সম্ভার। গত ৩০ অক্টোবর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে এক শ^াসরুদ্ধকর চূড়ান্ত খেলায় নিজেদের সেরাটা উপহার দেওয়া অত সহজসাধ্য ছিলই না। স্বাগতিক মাঠে সফরকারী খেলোয়াড়দের ভূমিকা কঠিন এক অভিযাত্রা। মাঠ থেকে পিচ তার সঙ্গে হাজারো দশকের হাততালির জোয়ারে ভাসতে থাকে স্বাগতিক দেশের খেলোয়াড়রা। তবে লড়াইটা হয় সমানে সমান। বিশেষ করে সর্বশেষ খেলার চূড়ান্ত পর্বে। অন্য দেশের মাটি আর দর্শকের ভিড়ে সেরা খেলাটা বের হয়ে আসা চমকপ্রদই নয় বরং অভাবনীয় বিজয়ের নিশানায় খোলা আকাশের নিচে পাখির মতো ডানা মেলে ওড়ার অপার সম্ভাবনাময় এক স্বাপ্নিক অনুভূতি। যা অতুলনীয়, অভাবনীয়। স্বাগতিক নেপাল ২-১ গোলে ধরাশায়ী হলে সাবিনা, মনিকা, ঋতুপর্ণারা বিজয় উল্লাসে দশরথ খেলার মাঠটি যে আনন্দস্রোতে ভেসে যায় তা প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করার অনন্য পারদর্শিতা। দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলের এমন প্রতিযোগিতামূলক খেলায় বাংলার নরম মৃত্তিকার শক্ত খেলোয়াড়রা খেলায় যে নৈপুণ্য প্রদর্শন করে যান তা শুধু ইতিহাস নয় এক অভাবনীয় ক্রীড়া দক্ষতার পূর্ণতর এক সফল পারদর্শিতা। সে সময় দশরথ স্টেডিয়াম বঙ্গললনাদের পদভারে কম্পমান। প্রতিপক্ষরাও কম কিছু যায় না। হিমালয়ের শক্ত মাটির কন্যারাও সমানে সমান লড়ে বাংলার নারী ফুটবলাদের কাছে পরাভূত হয়। জয়-পরাজয় যে কোনো প্রতিযোগিতার অবধারিত নিয়ম। তাই বিষয়টা অতি আবশ্যিকও বটে। আবার যে কোনো খেলার নির্ধারিত ফলাফল শুধুই নির্দিষ্ট দিনের। যে দিন খেলা হয় শুধুমাত্র সেদিনের। আগের গৌরব, ইতিহাস, ইতিবৃত্ত প্রেরণা জোগালেও সম্মুখ সমরে তা মনেও থাকে না। সামনে থাকে শুধুই প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়। বাকি সব উহ্য।
২০২২ সালেও বাংলার নারী ফুটবলাররা সাফ চ্যাম্পিয়ানশিপের চূড়ান্ত খেলায় নেপাল কন্যাদের হারিয়ে শিরোপা জয়ের আনন্দমাত্র ২ বছরে মুছে যাওয়ার নয়। জ্বলজ্বল করছে এখনো সেই অভাবনীয় জয়ের মধুর স্মৃতি যা সাবিনা, ঋতুপর্ণাদের মাতিয়ে দেয়। টানা শিরোপা অর্জন কম সৌভাগ্যের নয়। যেখানে হাতে চুড়ি আর পায়ের মলের ঝনঝনানিতে আবহমান বাঙালি নারী কমনীয়, রমণীয়, রূপ-সৌন্দর্যে অন্যের মন ভুলাত। তারাই আজ শক্ত ফুটবলে সজোরে পা চালাতেও বেগ পাচ্ছেন না। কি এক অসাধারণ শক্তিময়তায় নূপুরের সুমধুর ঝনঝনানি নয় বরং কঠিন ফুটবলের ছন্দে পা চালানোর পারদর্শিতা অনন্য এক আবেগাচ্ছন্ন প্রতিবেশ তো বটেই। পুরুষ কিংবা নারী যে কোনো ফুটবল পারদর্শিতায় সমসংখ্যক নারীকে উদাসীন, অবহেলায় পেছনে দাবিয়ে রাখার যুগ আজ অতীত। বর্তমানের উজ্জ্বল পারদর্শিতার সিঁড়ি বেয়ে আগামীর ভবিষ্যৎ কোথায় যাবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। পর পর দুইবার চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা অর্জন বাঙালি নারীর চমকপ্রদ দক্ষতা, অনন্য পারদর্শিতা সঙ্গে শৈল্পিক নৈপুণ্যও নির্ণায়কের কাজ করে। ২০২২ সালের সাফল্যও খেলার মাঠে বাংলার নারী যোদ্ধাদের এগিয়ে চলার যাত্রা পথের মাইলফলক। প্রথম বিজয়ের স্বাদই আলাদা। আবার ধারাবাহিক সাফল্যের আনন্দও ভিন্ন মাত্রার সুখের সাগরে ভাসিয়ে নেওয়া। দেশের ফুটবলের আঙিনায় অসাধারণ বরমাল্যের গৌরবান্বিত অধ্যায়। লাল-সবুজের ঝলমলে পতাকাকে আরও উঁচুতে নিয়ে যাওয়া দেশের ফুটবলার বঙ্গললনাদের সেরা কৃতিত্ব। নারী ফুটবলারদের সাফল্য গাঁথা অতীতের যে কোনো ইতিহাসের শুধু ধারাবাহিকতাই নয় বরং বীরদর্পে এগিয়ে যাওয়ার বিজয় নিশানা বলাই যেতে পারে। দামাল মেয়েরা তাই করে দেখিয়েছে। বিভিন্ন অনূর্ধ্ব খেলায় গত এক দশকে মেয়েদের সাফল্যের হাতছানি এসেছে বারবার। তবে হিমালয় কন্যাদের তাদের দেশের মাটিতে হারিয়ে যে আকাশছোঁয়া অর্জন তা সত্যিই অমূল্য এক মহাসম্পদ। নতুন বিজয় বদলে যাওয়া অনন্য বাংলাদেশের জন্য অভাবনীয় উপহার। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস সাড়ম্বরে বরণ করে নেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জিত বাংলার দামাল মেয়েদের। তাছাড়া ক্রীড়া মন্ত্রী সাফজয়ী বাংলার লড়াকু মেয়েদের উপহার দিয়েছেন এক কোটি টাকা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) থেকে দেড় কোটি টাকা উপহারও অনুপ্রেরণার পরম নির্মাল্য, যা অপরাজেয় নারী ফুটবল দলকে মূল কর্মযোগে যথেষ্ট সহায়তা দিতে এগিয়ে থাকবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও ২০ লক্ষ টাকা উপহার ঘোষণা দিয়েছে।
বাধা, বিঘ্ন, চ্যালেঞ্জ, লড়াইকে সম্মুখসমরে পদদলিত করে ফুটবলের মতো কঠিন বাতাবরণ পার হওয়া সত্যিই এক দুর্গম যাত্রাপথ। নতুন বাংলাদেশকে নবআনন্দে জাগানোর যে স্পৃহা, প্রেরণা তাই সাবিনা, ঋতুপর্ণাদের বিজয় রথের অনুষঙ্গ হয়েছে। বাংলাদেশের কোচ পিটার বাটলার নারী ফুটবলারদের সাফল্যে মুগ্ধ, বিমোহিত। তাদের নজরকাড়া পারদর্শিতাও ইংরেজ কোচকে অভিভূত করেছে। কোচ সত্যিই আনন্দ বিহ্বলে বাঙালি কন্যাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। শুধু তাই নয় অপার সম্ভাবনাও দেখছেন তিনি সাবিনা, মনিকা, ঋতুপর্ণাদের ঘিরে। শ্যামল বাংলার সবুজ সমারোহ আর সমুদ্রবেষ্টিত নদীস্নাত বাংলার অপরূপ সুশোভন স্নিগ্ধ বাতাবরণে কঠিন কঠোর ফুটবল আর শক্ত মাটি কিভাবে বঙ্গরমণীদের বিজয়ের ভূমি হয় তাও এক অভাবনীয় শৌর্য। দুর্দান্ত সাফল্যের পর নারী ফুটবলারদের নিত্য জীবনযাপনের ইতিবৃত্তও সামনে এসে যায়। যাপিত জীবনের প্রয়োজন সাপেক্ষে বেতন কাঠামো মানসম্মত নয় তেমন প্রশ্নও সাড়া জাগায়। সঙ্গত কারণে প্রয়োজনীয় বেতন কাঠামোর প্রতি নজরদারির ঘোষণাও আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে। মাসিক বেতন পেতেও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানো হয়। সময় মতো না পাওয়াও পরিস্থিতির বিপন্নতা। সঙ্গতকারণে ভালো ফল পেতে গেলে তাদের প্রতি দিনের জীবন নির্বিঘ্ন, নিরাপদ করাও জরুরি বলে বিভিন্ন মহল থেকে আওয়াজ তোলা হচ্ছে। আর্থিক আর পারিপার্শ্বিক নিশ্চয়তা যে কোনো সাফল্যের চাবিকাঠি। সমসংখ্যক পিছিয়ে পড়া নারীর ক্ষেত্রে তা আরও জরুরিই শুধু নয় আলোচনা সাপেক্ষে সমাধানও ন্যায্যতা দাবি করে। মনের সঙ্গে চলে বিরামহীন যুদ্ধ। নারী ফুটবল খেলবে পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। এক সময় তা ভাবাও যেত না। তেমন দুর্গম পথ পাড়ি দিতে কত সাত সাগর তেরো নদীর পথ অতিক্রম করতে হয়েছে তাও বিধৃত হয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়। ইতোমধ্যে ২০২৪ সালে নারী ফুটবল নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু হয়ে যায়। ভিশন-২০২৬কে সামনে রেখে আগাম পথ চলার পরিক্রমাও সংশ্লিষ্টদের প্রত্যয়ি করে তুলছে। তথ্য উপাত্তে ওঠে আসছে ২০২৬ সালকে সামনে রেখে নারী ফুটবল দলকে আরও আধুনিকায়নে খেলার প্রতি আগ্রহ ছাড়াও দক্ষ করার কর্মযোগ ভাবা হচ্ছে। লাগাতারভাবে জয়ী হওয়ার আকাক্সক্ষাও তাদেরকে আরও বেশি পরিকল্পিত খেলায় অংশ নিয়ে যোগ্যতম প্রমাণও সময়ের দাবি। এমন গুরুত্ব বিষয়ে কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে মাহফুজা আক্তার কিরণের আলোচনার বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছে। কোচকে অবহিত করা হয় চ্যাম্পিয়নশিপ ধরে রাখতে হবে। পিটারের পূর্ণ সমর্থনও পেয়েছেন মাহফুজা। তবে সামনেই ২৫ ডিসেম্বর। সঙ্গত কারণে ক্রিসমাসের পিটার ছুটি কাটাবেন। কোচ পিটারই পুরো দলের অভিভাবক। তার পরামর্শ, আদেশ, নির্দেশ মেনে চলেই নারী ফুটবলকে আরও যুগপযোগি ও লড়াকু যাত্রার সামিল করাই বাঞ্ছনীয়। তেমন লক্ষ্যে পুরো টিম গতিময় করে তোলাও এই মুহূর্তে করণীয়। যে পিটারের মুন্সীয়ানায় সাফ বিজয়ী নারীদের সাফল্য তাকে নিয়েই আগামির নারী দলের সমূহ সম্ভাবনাও। এখানে মাহফুজা কিরণের সাংগঠনিক দক্ষতা যেমন নজরকাড়া একইভাবে দলকে সংহত করতেও নিয়ামক শক্তি। যা সাফ বিজয়ী নারী ফুটবলাদের কাছে এক অভানীয় সাংগঠিক পারদর্শিতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা তো বটেই। যে কোনো আন্তর্জাতিক খেলায় দলকে তৈরি করা সহজসাধ্য নয়। শুধু কি সাংগঠনিক সক্ষমতা? একই সঙ্গে দলকে বিজয়ীর কাতারে নিয়ে আসাও অফুরান শক্তি আর দলের প্রতি নিঃশর্ত সমর্পণ তো বটেই। যার কারণে পিটারের মতো কোচ পেয়েছে সাফ বিজয়ী নারী ফুটবলাররা। নারী খেলোয়াড়দের বাস্তবসম্পত ক্রীড়া পরিকল্পনা কোচ পিটারকে আগ্রহ এবং আকর্ষণ বাড়ায় বলে আলোচনায় দৃশ্যমান হয়েছে।
২০২৬ সালে অনুর্ষ্ঠিত হবে সাফের আগামির আসর। তবে এখনও কোথায় হবে তা জানা যায়নি। তবে দক্ষ নারী খেলোয়াড়রা এবার নিজের দেশের মাটিতে সেরা খেলাটা উপহার দিয়ে জয়ের ধারাবাহিকতাকে উৎসর্গ করতে চান। অগণিত দর্শকও মন মাতানো খেলায় বিভোর হয়ে ফুটবল নারী চ্যাম্পিয়নদের অভিনন্দন জানাতে প্রস্তুত। ইতিহাস বড় নির্মম। সময়ে তা প্রকাশ হয়ে বিপন্নদের পাশে দাঁড়ায়। তাই ইতিহাস থেকেই শিক্ষা নিতে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় কাজটি সমাধা করা আবশ্যক। যোগ্যতম আর যথার্থ প্রার্থীর নিয়মানুগ সংযোজন। দক্ষ আর লড়াকু খেলোয়াড় নারী-পুরুষ যাই হোন না কেন তাদের যথাযথ প্রণোদনা, সহযোগিতা আর সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
লেখক : সাংবাদিক