ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

চুকনগরের গণহত্যা ও ইতিহাসের সত্য -মানস ঘোষ

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

চুকনগরের গণহত্যা ও ইতিহাসের সত্য  -মানস ঘোষ

এপার বাংলার বাঙালীদের বিশেষ করে যারা পূর্ববঙ্গ থেকে শরণার্থী হয়ে এপারে এসে বসবাস করছেন, তাদের একটা বৈশিষ্ট্য হলো তারা এতটাই আন্তর্জাতিকতায় বিশ্বাস করেন যে ফিলিস্তিনী, সিরিয়া, ভিয়েতনামের মাইলাই এমনকি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা নিয়ে তারা কেঁদে ভাসান। কিন্তু তাদের ‘দ্যাশের’ মেলে ও সমগোত্রীয়দের সন্বন্ধে তারা কোন খোঁজ খবর রাখেন না বা সহমর্মিতা পোষণ করেন না। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের সমগোত্রীয়দের ওপর যে গণহত্যার খড়গ নেমে আসে, সে সম্বন্ধে তাদের জ্ঞান যে কত সীমিত তা জানা যায় একাত্তর সন্বন্ধে তাদের লেখা ও বক্তব্য থেকে। লজ্জার ব্যাপার হলো, তারা বাঙালী সমাজে বুদ্ধিজীবী বলে উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত। তাদের একজন হলেন প্রখ্যাত বসু পরিবারের পাকিস্তানমনা ইতিহাসবিদ যিনি অক্সফোর্ডে বসবাসরত। সেই তিনি হলফ করে লিখেছেন একাত্তরে ৩০ লাখ বাঙালী গণহত্যার শিকার হয়নি, সংখ্যাটি বানোয়াট। তাদের এই চরম মিথ্যাচারের জবাব দিতেই আমি সম্প্রতি চুকনগরে যাই। যা খুলনা শহর থেকে প্রায় পঁচিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ওই অখ্যাত আধাশহর, আধাগঞ্জ জনপদের প্রতিটি ইটে ও ধুলি কনায় এখনও একাত্তরের এক করুন ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম অধ্যায় অমলিন হয়ে আছে। এই মর্মান্তিক ইতিহাস সব বাঙালীর জানা প্রয়োজন। এই নারকীয় হত্যা কা-টি প্রথমে প্রসঙ্গে আনেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও বর্তমানে বঙ্গবন্ধু প্রফেসর পদে অধিষ্ঠিত মুনতাসীর মামুন। তিনি একাত্তরের বীর শহীদদের সন্বন্ধে গবেষণা ও জরিপ করতে গিয়ে চুকনগর গণহত্যা সংক্রান্ত ভয়ঙ্কর সব তথ্যাদি জানতে পারেন। তিনি চুকনগর গিয়ে প্রত্যক্ষদের সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে তথ্য প্রমাণ যোগাড় করে ১০ হাজারের বেশি বাঙালীকে একাত্তরের ২০ মে, বুধবার ইতিহাসের সবচেয়ে জনঘন্যতম গণহত্যার সেই সত্যটি প্রতিষ্ঠিত করেন। হিটলার জার্মানি ও পোল্যান্ডের বিভিন্ন বন্ধী শিবিরে ২০ লাখ ইহুদীদের গ্যাস চেম্বারে পুরে হত্যা করেছিল। কিন্তু পাক বাহিনী সেদিন সকাল দশটা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তার নজির ইতিহাসে নেই। চুকনগর ভদ্রা ও পাঙ্গরাইল নদীর তীরে একটি বর্ধিষ্ণু বাণিজ্য কেন্দ্র। এক সময় চুকনগরের সঙ্গে বহির্বিশ্বের একমাত্র যোগাযোগের বাহন ছিল নৌকা। একাত্তরে ইয়াহিয়া খান পূর্ব-পাকিস্তানকে হিন্দু শূন্য করার লক্ষ্যে তার সশস্ত্র বাহিনীকে ঢালাও নির্দেশ দেয়। এই কাজ সিদ্ধি করার জন্য গণহত্যাকে বেছে নেয়া হয়। এপ্রিল থেকে পাকবাহিনী সেই নির্দেশ কার্যকর করতে শুরু করে। যেহেতু চুকনগর থেকে নদীপথে বরিশাল, পটুয়াখালী ও ফরিদপুরে যাওয়া-আসা খুব সহজ ছিল। সেই কারণে ওই সব জেলার হিন্দু বাসিন্দাদের এক বিরাট অংশ নৌকায় চুকনগরে এসে হাঁটাপথে ভারতের শরণার্থী শিবিরে যেত। ২৯ মে রাতেও কয়েক হাজার নির্যাতিত, ভীত সন্ত্রস্ত হিন্দু পরিবার কয়েক শ’ নৌকায় চুকনগরে এসে রাত কাটিয়ে কাকভোরে ভারতের সীমান্তের (বসিরহাটের দূরত্ব মাত্র ২৩ কিমি.) দিকে তল্পিতল্পা নিয়ে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। ৮১ বছরের এরশাদ আলী মোড়ল চুকনগর গণহত্যার এক প্রত্যক্ষ্যদর্শী। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেও ২০ মের লোমহর্ষক ঘটনা এখনও তার চোখের সামনে ভাসে। তার দেখা গণহত্যার বিবরণ এই রকম : ‘যে হারে হিন্দুরা হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচার তাগিদে চুকনগরে এসে জড়ো হচ্ছিল, সেটা দেখে আমাদের ভয় হচ্ছিল, না যানি পাক বাহিনী চুকনগরে এসে গণহত্যা চালায়। কারণ, এক সঙ্গে এত বিশাল সংখ্যক হিন্দুকে এক জায়গায় হাতের নাগালে তারা তো আর পাবে না। ইতোমধ্যে কানাঘুষা শুনতে পাচ্ছিলাম মাওলানা ইউসুফ রাজাকার (যে পাক বাহিনীকে মুক্তিবাহিনী সম্পর্কিত সব খবর যোগাত) ও তার সাগরেদরা সাতক্ষীরা পাক কমান্ডারকে খবর দেয় ‘হুজুর রোজ চুকনগর হয়ে হাজার হাজার হিন্দু ভারতে পালাচ্ছে। ওদের গণহত্যা করার এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করবেন না! ২৯ মে দেখি রাতে ভদ্রা ও গড়াইল নদীতে শুধু নৌকা আর নৌকা। তাতে পোঁটলা-পুঁটলী নিয়ে বোঝাই হিন্দু পরিবার। চুকনগর বাজারও হিন্দু পরিবারের ভিড়ে ঠাসা। পা মেলার পর্যন্ত জায়গা নেই। সে এক দমবন্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়েছিলাম রাতে যেন কোন অঘটন না ঘটে। সকালে উঠে দেখি নদীতে নৌকার সারি আরও লম্বা হয়েছে। সাপেরমতো এঁকে বেঁকে গেছে। নৌকা থেকে নেমেই পরিবারগুলো চুকনগর বাজারের দিকে দৌড়াচ্ছে। বাড়ি ফিরে আব্বুকে নদীর দৃশ্যের বর্ণনা দিলাম। শুনেই তিনি বললেন ‘আজকের দিনটা যেন ভালভাবে কাটে।’ পরে তার কথার মানে বোঝার চেষ্টা করি। তবে কি তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে একটি জঘন্য কান্ড ঘটতে যাচ্ছে? তিনি ওই কথা বলেই হাতে খুরপি নিয়ে মাঠে চলে গেলেন নিড়ানির কাজ করতে। সকাল দশটার কিছু পরে গুলির প্রচন্ড শব্দে আমি ও আম্মু হতচকিত হয়ে পড়ি। আম্মু আমায় বলেন যা মাঠে গিয়ে দেখে আয় তোর আব্বু কেমন আছেন। মাঠে গিয়ে দেখি আব্বু গুলিবিদ্ধ হয়ে মাঠে পড়ে আছেন। বুকে গুলি লেগেছিল। মাটি রক্তে ভেসে গেছে। পরিহাসের বিষয় হিন্দুদের গণহত্যা করতে গিয়ে হানাদাররা প্রথমে হত্যা করে এক ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে। আমি দেয়ালের আড়ালে আশ্রয় নিলাম এবং সেখান থেকে সব দেখলাম। কালো উর্দিপরা হানাদারা একটা জীপ এবং একটা ট্রাকে করে এসেই গুলি ছুড়তে শুরু করে। গাড়ি থেকে নেমেই হানাদাররা মাঠের মধ্যে দিয়ে দৌড়তে দৌড়তে হিন্দুদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে চুকনগর বাজারের দিকে যাচ্ছে। অন্য দল ভদ্রা নদীতে যেসব নৌকায় করে হিন্দুরা এসেছিল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে। তারা নদীতে বা মাটিতে পড়ে মাছের মতো ছটফট করছে। যারা চুকনগর বাজারের দিকে পালাচ্ছিল তারও গুলিবিদ্ধ হয়ে টপ টপ করে মাটিতে পড়ে লুটোপুটি খাচ্ছিল। গুলির বিকট শব্দ, মানুষের আহাজারি ও কান্নার রোল যেন আকাশ বাতাস কাঁপছিল। চোখের সমানে দেখছি ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি উড়ে যাচ্ছে। মানুষ উদভ্রান্ত হয়ে দৌড়াচ্ছে। হঠাৎ আমার চোখ পড়ল গুলিবিদ্ধ এক মৃত মায়ের বুকের ওপর। একটি দুগ্ধ শিশু কাঁদছে এবং থেকে থেকে মার বুকের দুধ খাচ্ছে। শিশুটির দেহ মায়ের রক্তে লালে লাল হয়ে গেছে। আমি গুলির পরোয়া না করে দৌড়ে শিশুটিকে মায়ের বুক থেকে তুলে নিজের কোলে নিলাম। শোঁ শোঁ করে গুলি কানের পাশ দিয়ে চলে গেলে। শিশুটিকে বাড়িতে আনলাম। আম্মুকে বললাম আব্বু খান সেনার গুলিতে মারা গেছে। কিন্তু তার বদলে এই শিশুটিকে পেলাম। তাকে বললাম শিশু কন্যাটি হিন্দু পরিবারের। ওর মা গুলি খেয়ে মাঠে মরে পড়ে আছে। ভাবলাম আব্বুকে হারিয়েছি। যদি এই শিশুটির প্রাণ বাঁচাতে পারি। সেই জন্য বাড়িতে নিয়ে এলাম। আম্মু শিশুটিকে কোলে নিয়ে গোসল করতে গেল। বললেন শিশুটি আমরাই মানুষ করব। বাইরে তখনও গুলি চলছে। আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লাম এই আশায়, যদি ওই শিশুটির মতো আরও কাউকে বাঁচাতে পারি। গোলাগুলির ভয় আমাকে দমাতে পারেনি। আমি হেঁটেই চুকনগর বাজারে পৌঁছলাম সেখানে দেখি মাওলানা ইউসুফ রাজাকার ও তার সাগরেদরা লাশের স্তূপের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। সঙ্গে হানাদার বাহিনী। যাদের দেহে একটুও প্রাণ আছে বা যারা হাত-পা নাড়ছে, তাদের হাতের শিরা বা গলার নলি কেটে দিচ্ছে এবং হানাদাররা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারছে। লাশের ওপর লাশ আর তার ওপরেও লাশ। সেই বিভৎস দৃশ্য ও বাজারে রক্তের নদী দেখে আমার দেহ অসার হয়ে গেল। লাশের ওপর কতক্ষণ পড়ে রইলাম জানি না। জ্ঞান ফিরলে হেঁটে ভদ্রা নদীর পারে গেলাম। দেখি নদীর পানির রঙ লালচে ধূসর হয়ে গেছে। দুপুর তিনটে পর্যন্ত গুলি চলল। হিন্দুদের লাশ দেখে হানাদারদের সে কি উল্লাস! আব্বুকে দাফন করে বাড়ি ফিরলাম। আসার সময় নদীর তীরে মৃতের পাহাড় দেখলাম। যতদূর চোখ যায় শুধু লাশ আর লাশ! কিন্তু এত লাশ ফেলব কোথায়? গণকবর দিতে হলে সারা চুকনগরের মাটি খুঁড়তে হবে। আর গণসৎকার করতে গেলে চুকনগরের সব গাছ উজাড় হয়ে যাবে। বর্তমানে যেখানে শহীদ স্মারক আছে সেখানে আমি অন্যদের সাহায্য নিয়ে ৩০০০ লাশের গণকবর দিয়েছি। যখন কবর খুঁড়ছি তখন দেখি হানাদার বাহিনী আকাশে গুলি ছুড়ে ও উল্লাস করে গাড়িতে চড়ে চুকনগর ছাড়ছে। প্রায় হাজার খানেক লাশ নদীতে ফেলা হলো, প্রায় দু’দিন ধরে। মাঠে-ঘাটেও লাশ পড়ে রইল। পরদিন চুকনগরের আকাশে ঝাঁক ঝাঁক শকুনিদের দেখা পেলাম মৃতদেহগুলোকে ‘সাফ’ করতে প্রায় তিন সপ্তাহ লেগেছিল। দুর্গন্ধের জেরে অন্য গ্রামে গিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছিলাম। চার বছর আমরা আমাদের দুই নদী ও স্থানীয় পুকুরের মাছ খাইনি। প্রায় এক বছর চুকনগরে লোকেদের যাওয়া-আসা বন্ধ ছিল। ভদ্রা ও গাঙ্গরাইলে যেহেতু জোয়ার-ভাটা খেলে, তাই নদীতে ফেলা লাশগুলো ভেসে চুকনগর ঘাটে এবং নদী জুড়ে জড়ো হতো। সে এক নারকীয় দৃশ্য। শত শত লাশ ভেসে এসে নদী ভরিয়ে দিত রোজ। আমরা থাকতে না পেরে লাশগুলোকে উজানে জড়ো করে তাদের পা এক সঙ্গে বেঁধে নদীর তীরে বড় গাছগুলোর সঙ্গে বেঁধে দিতাম যাতে সেগুলো আবার চুকনগরে যেন ভেসে না আসে। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতেই আম্মু বললেন আমি শিশুটির নাম সুন্দরী রাখতে চাই। নামটা শুনেই আমিও রাজি। বললাম দেখতেও সুন্দর নামটাও সুন্দর। বললাম সুন্দরীর মৃত মার কপালে টিপ ও সিঁথিতে সিঁদুর দেখেছিলাম। ওকে হিন্দু আচার-বিচার মেনেই মানুষ করতে হবে। ওকে মুসলিম আদব কায়দায় বড় করব না। লেখাপড়ার জন্য ওকে স্কুলে পাঠাব, মাদ্রাসায় নয়। যাতে হিন্দু পড়শীরা আমাদের দিকে আঙুল তুলে বলতে না পারে এরশাদরা একটি হিন্দু শিশুর অসহায়তার সুযোগ নিয়ে মুসলমান করে মানুষ করল। সুন্দরীর বড় হওয়া আমাদের জন্য এক বিরাট পরীক্ষা ছিল। ওর বিয়ের জন্য টাকা জমাতে শুরু করি। সুন্দরী যখন ডাগর হয়ে উঠল তখন আমি ওর জন্য এক সৎ হিন্দু পাত্রের খোঁজ শুরু করি। নিজের জমানো টাকা ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে ওর বিয়ে দিলাম। ও এখন সুন্দরী বালা। বরাত জোরে হানাদারদের হত্যাযজ্ঞ থেকে ওর বেঁচে ফেরা এবং এক মুসলিম পরিবারে ওর বেড়ে ওঠার গল্প সুন্দরী সম্বন্ধে সাধারণ মানুষের কৌতূহল বাড়িয়ে দেয়। ডুমুরিয়া থানার সবার মুখে মুখে ওর গল্প শোনা যেতে লাগল। সুন্দরী যে আমাদের পরিবারের মেয়ে হয়ে উঠছিল সেটা বুঝলাম যেদিন ও বিয়ে করে তার স্বামীর বাড়ি চলে গেল। সুন্দরীতো এখন ডুমুরিয়ার শিল্পকলা একাডেমির দফতরে চাকরি পেয়েছে। আমি এরশাদকে জিজ্ঞাসা করি ‘কলকাতা ও ঢাকায় অনেকে বলছে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালী গণহত্যার শিকার হননি। তারা বলছে এসব বানোয়াট গল্প।’ এরশাদের উত্তর ‘ওদের আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। আমি ওদের ইতিহাস পাঠ নেব এবং চুকনগর কলেজের মাটি খুঁড়ে কয়েক হাজার খুলি ও কয়েক লাখ হাড় দেব। চুকনগর স্মৃতিফলকের কেয়ারটেকার রফিকুল ইসলাম হঠাৎ ভিজিটার বুক বার করে দেখালেন দুটি মন্তব্য। মন্তব্য দুটি পাকিস্তানী গবেষক বেগম আনম জাকারিয়া ও হারুন খালিদের। তারা লিখেছেন ‘চুকনগরে পাকিস্তান যা করেছে তার জন্য ক্ষমা চাওয়া ছাড়া অন্য কোন পথ নেই।’ লেখক : ভারতীয় সাংবাদিক
×