
ছবি: সংগৃহীত
থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার বহু পুরনো সীমান্ত বিরোধ ফের রক্তক্ষয়ী রূপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ১৩ জনই বেসামরিক নাগরিক ও একজন সেনা। আহত হয়েছেন আরও ৪৬ জন। সংঘর্ষের কারণে চারটি প্রদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ ৬৭২ জন মানুষকে।
থাই সেনাবাহিনী জানায়, কাম্বোডিয়ান বাহিনী ট্রাক-মাউন্টেড রকেট হামলা চালালে পাল্টা জবাবে F-16 যুদ্ধবিমান দিয়ে বিমান হামলা চালানো হয়। কাম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, থাইল্যান্ডের বোমাবর্ষণ ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের কাছাকাছি পড়েছে, যা আইনভঙ্গের সামিল।
বুধবার একটি ল্যান্ডমাইনে পাঁচ থাই সেনা আহত হওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে উভয় দেশই একে অপরের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুই পক্ষকে "সর্বোচ্চ সংযম" দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার নিউইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তীব্র মানবিক সংকট সৃষ্টি হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ ট্রাক্টর ও গাড়িতে করে সীমান্ত এলাকা ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন। থাই সরকার সমস্ত স্থল সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে এবং নাগরিকদের কাম্বোডিয়া ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও চাপে পড়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই।
মুমু ২