
ছবি: সংগৃহীত
মঙ্গলগ্রহে অভিযানকে ঘিরে আবারও আশার আলো। সুইডেনে ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ESA) পরিচালিত এক ঐতিহাসিক প্যারাস্যুট পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘদিনের প্রযুক্তিগত ব্যর্থতা ও ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা কাটিয়ে এই সফলতা নতুন করে প্রাণসঞ্চার করেছে এক্সোমার্স মিশনে।
প্যারাস্যুটের সফল পরীক্ষা: মঙ্গলে নামার পথে বড় সাফল্য
সুইডেনের আকাশে ২৯ কিলোমিটার উচ্চতায়, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের অনুরূপ পরিবেশে পরীক্ষাটি সম্পন্ন হয়। পরীক্ষায় ব্যবহৃত দুটি প্যারাস্যুট যথাক্রমে ১৫ মিটার ও ৩৫ মিটার দীর্ঘ—যা মহাকাশ অভিযানে ব্যবহৃত বৃহত্তম প্যারাস্যুটগুলোর মধ্যে অন্যতম। মঙ্গলের পাতলা বায়ুমণ্ডলে অবতরণের জন্য এই ধরনের বিশাল প্যারাস্যুট অত্যন্ত জরুরি।
ব্যর্থতা ও নতুন জোট: এক অভিযানের পেছনের গল্প
২০১৯ ও ২০২০ সালের পরীক্ষাগুলো প্রত্যাশিত ফলাফল আনতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে প্রকৌশলগত নানা পরিবর্তন আনতে হয়। এ ছাড়াও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার রোসকসমসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ স্থগিত হয় ২০২২ সালে। তবে থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস, এয়ারবাস এবং বাজেট সংকট সত্ত্বেও নাসার সমর্থন মিশনটিকে নতুন গতি দেয়।
মঙ্গলে অবতরণ: প্রযুক্তির চরম পরীক্ষা
মঙ্গলে নামা একটি জটিল কাজ, কারণ এর বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তুলনায় অনেক কম ঘনত্বের। প্যারাস্যুট ছাড়াও রেট্রোরকেট ও হিট শিল্ডের সঠিক কার্যকারিতাও জরুরি। এই অভিযানে ব্যবহৃত রোভার ‘রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন’-এর মূল লক্ষ্য হবে মঙ্গলপৃষ্ঠে খনন করে অতীত বা বর্তমান প্রাণের চিহ্ন খোঁজা।
এক্সোমার্স: ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
বিজ্ঞানী ও গবেষকদের আশা, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এক্সোমার্স মিশন চালু করা সম্ভব হবে। প্রযুক্তিগত বাধা ও কূটনৈতিক সমস্যাগুলো কাটিয়ে মিশনটি এখন নতুন করে এগিয়ে চলেছে। এই অভিযান শুধু মঙ্গল নয়, গোটা মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের ধারণাকেই পাল্টে দিতে পারে।
সূত্র: https://3dvf.com/en/mission-to-mars-exomars-huge-parachute-finally-passes-its-historic-test/
রাকিব