
ছবি: সংগৃহীত।
এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার খাতা অনেক সময় স্কুল বা কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দিয়ে মূল্যায়নের অভিযোগ আছে। তবে এবার এ ধরনের কাজের সঙ্গে শিক্ষকরা জড়িত থাকলে দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে সতর্ক করেছে শিক্ষা বোর্ড।
সোমবার (৫ মে) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ‘অতীব জরুরি’ চিঠিতে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।
বোর্ড সূত্র জানায়, মূলত এসএসসি পরীক্ষার খাতা বিভিন্ন পরীক্ষকের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হচ্ছে। তার মধ্যেই এ ধরনের বিভিন্ন অভিযোগ গোপন সূত্র থেকে আসায় সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার উত্তরপত্র একটি গোপনীয় বিষয়। এটি প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষকদের কাছে আমানত। পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষক ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি, শিক্ষার্থী বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে (স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন) দিয়ে বৃত্ত ভরাট বা পূরণ করানো বা মূল্যায়ন করানো যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের কাজ পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত ১৯৮০ সালের ৪২ নম্বর আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধ প্রমাণিত হলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড কিংবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। সব পরীক্ষককে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
নুসরাত