ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বই পরম বন্ধু

প্রকাশিত: ২০:১৪, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বই পরম বন্ধু

বাবার সাথে বইমেলায় প্রতিভা নামিরা

তখন একুশে বইমেলা এতটা সরব ছিল না। খুব পড়ুয়া যারা তারাই বেশি যেতেন নতুন কোনো ভালো বইয়ের সন্ধানে। আর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যেত একসঙ্গে সবাই মিলে ঘুরে বেড়াতে। তখন প্রভাত ফেরি শেষে আমরাও যেতাম বইমেলা দেখতে। এখন বই পড়ার অভ্যাস অনেকটাই কমে গেছে। ফলে বই কেনা-বেচাও কমেছে। তবে বইমেলা মানুষকে বইমুখো করছে। যদিও বইমেলায় বেশিরভাগ মানুষই যায় বেড়াতে। বিশেষ করে বন্ধু-বান্ধব মিলে একসঙ্গে সময় কাটানোর উত্তম সময় হচ্ছে এই বইমেলা, প্রাণের মেলা।

তাই সারাক্ষণ ক্রেতা না হলেও প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। সেই সুযোগে বইও কেনা-বেচা হয়। আর তার বদৌলতে কেনা বইগুলো পড়াও হয়ে যায়। এটা একটা আশার দিক। প্রাণের উৎসব এই বইমেলা পুরো ফেব্রুয়ারিকে আলোকিত করে রাখে। মাসের মধ্যখানে ফাল্গুন আর ভ্যালেন্টাইন্স ডে পুরো বাংলাকে রাঙিয়ে দেয়। করোনা মহামারির কারণে গত বছর বই মেলা নির্দিষ্ট সময়ে হয়নি, তেমন জমেওনি। এবারে মেলা তাই জমজমাট। প্রচুর বইও আসছে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির গেটে চট বিছিয়ে বই বিক্রি শুরু করেছিলেন মুক্তধারা প্রকাশনীর মালিক চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী বাংলা একাডেমিকে এই বইমেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন। পরবর্তীতে আরও অনেকে যুক্ত হলে মেলার পরিসর দীর্ঘ হতে থাকে। ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেঅমর একুশে গ্রন্থমেলানামে মেলার সূচনা হয়। পরিসর আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় মেলা এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় মেলা। শুরুতেই থাকে শিশু প্রহর। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে।

একুশ এলেই প্রায় প্রতিটি এলাকায় ছোট ছেলেরা চাঁদা তুলে গড়ে তুলে শহীদ মিনার। বাঙালি চেতনার অমর একুশে ফাল্গুন, আগুন রাঙা পলাশ আর রক্তিম শিমুলের বসন্তেই এখন প্রভাত ফেরি শুরু।

×