
ছবি: সংগৃহীত
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকের উজ্জ্বল স্ক্রলিং-এর মাঝেও আপনার মন কি একা লাগে? চারপাশে হাজারো কানেকশন, অথচ হৃদয়ের গভীরে একাকিত্ব—এই অভিজ্ঞতা আজকাল অনেকের জীবনের অংশ। এই ‘ডিজিটাল নিঃসঙ্গতা’ কাটানোর উপায় হতে পারে ‘ডিজিটাল ডিটক্স’। কিন্তু আদৌ কতটা কার্যকর এই পদ্ধতি?
ডিজিটাল ডিটক্স বলতে কী বোঝায়?
ডিজিটাল ডিটক্স মানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মোবাইল, ল্যাপটপ, সামাজিক মাধ্যমসহ সব ধরনের স্ক্রিন ব্যবহার থেকে বিরতি নেওয়া। এটি মন, মনোযোগ এবং সম্পর্ক পুনর্গঠনের একটি উপায়।
নিঃসঙ্গতার কারণ কী ডিজিটাল আসক্তি?
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, দিনে ৩ ঘণ্টার বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিঃসঙ্গতা, বিষণ্নতা ও আত্মবিশ্বাসহীনতা বেশি দেখা যায়। ভার্চুয়াল কানেকশনের ভিড়ে মানুষ হারিয়ে ফেলছে বাস্তব সম্পর্ক ও মানসিক স্বস্তি।
ডিজিটাল ডিটক্সের সুফল:
✅ মানসিক প্রশান্তি ও ঘুমের উন্নতি
✅ বাস্তব জীবনে সম্পর্ক মজবুত হয়
✅ নিজের প্রতি মনোযোগ ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে
✅ হরমোন ভারসাম্য ঠিক থাকে
✅ সময়ের সঠিক ব্যবহার ও উৎপাদনশীলতা বাড়ে
কীভাবে শুরু করবেন ডিজিটাল ডিটক্স:
1. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় “ফোন অফ” রাখুন (যেমন সকাল ৮টা–১০টা)
2. খাবার সময় বা ঘুমানোর আগে মোবাইল থেকে দূরে থাকুন
3. “নোটিফিকেশন সাইলেন্স” করুন অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোর
4. বাস্তব মানুষের সঙ্গে কথা বলুন, হাঁটুন, বই পড়ুন
5. “সোশ্যাল মিডিয়া ক্লিনজ” করুন সপ্তাহে অন্তত একদিন
ঢাকার ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ডা. রাশেদা জামান জানান, “নিঃসঙ্গতা কাটাতে প্রকৃত সংযোগ প্রয়োজন—সেটা ভার্চুয়াল নয়, বাস্তব জীবনের মানুষের সঙ্গে। ডিজিটাল ডিটক্স মানসিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
নিঃসঙ্গতার সমাধান খুঁজতে যদি আপনি আরও স্ক্রল করেন, তবে আপনি কেবল পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকবেন—কিন্তু নিজের দিকে নয়। তাই সময় দিন নিজেকে, পরিবারকে, প্রকৃতিকে—ডিজিটাল বিরতি হোক জীবনের নতুন শুরু।
Mily