ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বডি ক্যামেরা ও বায়োমেট্রিক ডিভাইস বসাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত: ১৯:২২, ২৯ জুলাই ২০২৫

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বডি ক্যামেরা ও বায়োমেট্রিক ডিভাইস বসাচ্ছে ভারত

ছবি:সংগৃহীত

ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি জোরদার করতে ৫,০০০-এর বেশি বডি-ক্যামেরা এবং বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহকারী যন্ত্র স্থাপন করছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, এসব ক্যামেরা ও ডিভাইস সীমান্তে বেআইনি অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও সংঘর্ষের ঘটনাগুলোর সঠিক নথিভুক্তি ও নজরদারি বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্যবহৃত হবে।

বডি ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য
এই বডি-ক্যামেরাগুলোতে নাইট ভিশন (রাতেও দেখার ক্ষমতা) ও দীর্ঘক্ষণ ভিডিও ধারণের সুবিধা থাকবে। এর ফলে বিএসএফ সদস্যরা সীমান্তে যে কোনো মুহূর্তের বাস্তব ভিডিও প্রমাণ সংরক্ষণ করতে পারবেন—বিশেষত বেআইনি অনুপ্রবেশ, গবাদি পশু পাচার, মাদক ও জাল নোট চোরাচালান কিংবা সংঘর্ষের সময়।

বায়োমেট্রিক স্ক্যানার
কিছু সীমান্ত চৌকিতে বসানো হচ্ছে বায়োমেট্রিক স্ক্যানার—যার মাধ্যমে ধৃত ব্যক্তিদের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিস স্ক্যান করে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

এই ডেটা ভারতের ‘ফরেইনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিস’ (FRO)-এর সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হবে, যাতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীদের একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেস তৈরি করা যায়।

সীমান্ত নিরাপত্তার বড় পর্যালোচনার অংশ
এই উদ্যোগগুলো ভারত-বাংলাদেশ ৪,০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে সামগ্রিক নিরাপত্তা পর্যালোচনার অংশ বলে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারগুলোকে নিজ নিজ অঞ্চলে বসবাসরত ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ চিহ্নিত করে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।

চলতি বছরের তথ্য
চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বিএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ১,৩৭২ জন ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের সময় ধরা পড়েছেন। এছাড়া আরও ৩,৫০০ জনকে রাজ্য পুলিশ ধরেছে বা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় আটক করেছে।

বাংলাদেশের উদ্বেগ
সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে বাংলাদেশ। ভারত বলছে, নতুন এই ক্যামেরা ব্যবস্থার ফলে এ ধরনের ঘটনার ভিডিও প্রমাণ থাকায় তদন্তে স্বচ্ছতা আসবে এবং সত্য উদঘাটন সহজ হবে।


সীমান্তে নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার হলে উভয় দেশের জন্যই এটা হতে পারে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা।
 

 

মারিয়া

আরো পড়ুন  

×