
ছবি: সংগৃহীত
চীনের সাংহাই শহরে অবস্থিত একটি ফুল ও গার্ডেনিং সার্ভিস কোম্পানিতে কাজ করতেন ৪১ বছর বয়সী ওয়াং জিং (ছদ্মনাম)। কোম্পানির ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনের আড়ালে তিনি গড়ে তোলেন এক ভয়াবহ প্রতারণার সাম্রাজ্য। ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক একাউন্ট থেকে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২০ কোটি টাকা) আত্মসাৎ করেন শুধুমাত্র নিজের বিলাসবহুল জীবনযাপন ও রূপচর্চার জন্য।
প্রতিবছর চারবার করে কসমেটিক সার্জারি করাতেন তিনি, প্রতিটি সার্জারিতে খরচ হতো প্রায় ৩ লাখ ইউয়ান (৩৬ লাখ টাকা)। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে ধনী হিসেবে তুলে ধরার জন্যই তিনি বছরে প্রায় ২০ লাখ ইউয়ান (২ কোটি টাকা) ব্যয় করতেন দামি হ্যান্ডব্যাগ, হীরার ব্রেসলেটসহ বিলাসবহুল সামগ্রীতে।
তদন্তে জানা যায়, এই চক্রে ওয়াং জিং এর একমাত্র সহযোগী ছিলেন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা সু (Xu) নামের এক ব্যক্তি, যিনি কোম্পানির জন্য একটি নিরাপদ অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেন এবং তার দেখভাল করতেন ওয়াং নিজেই।
তবে সু নিজের মোবাইল ফোন থেকেই কোম্পানির আর্থিক লেনদেন পর্যবেক্ষণ করতে পারতেন বলে শুরুতে কোনো সন্দেহ হয়নি। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই মাসে কর কর্তৃপক্ষের আকস্মিক পরিদর্শনে জালিয়াতির ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। দেখা যায়, কোম্পানির হিসাব খালি। কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা খরচ পর্যন্ত দিতে হয় মালিকের ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকে।
গ্রেপ্তারের পর ওয়াং জিং বলেন, “আমি সৌন্দর্যের মোহে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কোনো পুরুষের পেছনে এক পয়সাও খরচ করিনি। শুধু নিজেকে আরও সুন্দর দেখাতে চেয়েছি। আমি প্রশংসা পেতে ভালোবাসি।”
বর্তমানে সাংহাইয়ের চাংনিং জেলা জনসাধারণের প্রসিকিউটর অফিস তার বিরুদ্ধে আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেছে। মামলাটি বিচারাধীন।
মুমু ২