
ছবি: সংগৃহীত।
সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সুইদার প্রধান হাসপাতালটি বর্তমানে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ড্রুজ সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বেদুইন ও সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের পর হাসপাতালে ব্যাপক সংখ্যক আহত রোগী ভিড় জমিয়েছে — বিদ্যুৎ ও পানির সঙ্কটের মধ্যেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালটি।
জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রতিনিধি ক্রিস্টিনা বেথকে জেনেভায় সাংবাদিকদের জানান, “সুইদার ভেতরে দৃশ্যপট অত্যন্ত করুণ। স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রচণ্ড চাপে রয়েছে। বিদ্যুৎ ও পানি বিচ্ছিন্ন, এবং জরুরি ওষুধের মজুত ফুরিয়ে আসছে।”
তিনি আরও জানান, অনেক চিকিৎসক নিরাপদে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারছেন না। এমনকি এই সপ্তাহের শুরুতে হাসপাতালের মরচুয়ারিও সম্পূর্ণ ভরে গিয়েছিল, কারণ সেখানে প্রচুর সংখ্যক আঘাতপ্রাপ্ত ও নিহত ব্যক্তিকে আনা হয়েছিল।
সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস-এর মতে, ড্রুজ মিলিশিয়া ও বেদুইন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ থেকে শুরু হয়ে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে ভয়াবহ লড়াইয়ে রূপ নেয় এই সহিংসতা। এতে অন্তত ৯০৩ জন নিহত হয়েছে। সংস্থাটির প্রধান ফাদেল আবদুলঘানি বলেন, নিহতের এই সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত নয়। তারা ড্রুজ, বেদুইন ও সরকারি বাহিনীর হাতে সংঘটিত মাঠ পর্যায়ের গণহত্যার প্রমাণও পেয়েছেন।
WHO জানায়, সংঘাত-বিদ্বেষের মধ্যেও তারা গত সপ্তাহে দুটি সাহায্যবাহী কনভয় সুইদায় পাঠাতে পেরেছে। তবে অঞ্চলটিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ থাকায় সেখানে প্রবেশ এখনও অত্যন্ত কঠিন।
সাম্প্রতিক সংঘাতে ১ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে WHO জানায়। এদের অনেকেই দারা ও দামেস্কের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স
মিরাজ খান