
একটি ছোট নদী। সরু খালের মতো। সেটিও এখন ভাঙছে। তবে বর্ষার প্রবল স্রোতের কারণে নয়। নদীতে অবৈধভাবে চলাচলরত বাল্কহেডের জন্য। মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাহপুর এলাকার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এক সময়ের স্রোতস্বিনী নদীটি এখন সরু খালে পরিণত হয়েছে। তাতেও স্থানীয় মানুষের নিস্তার নেই। ভাঙনের শিকার হয়ে বাড়ি-ঘর ও বসতভিটা হারাতে হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানকার মানুষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেছেন। কিন্তু পদ্মা নদী থেকে চোরা বালু শিকারীরা দিনে ও রাতে প্রকাশ্যে বড় মেঘনা নদী দিয়ে না এসে এই ইছামতির সরু নদীই এখন রুট হিসেবে তারা ব্যবহার করছেন। দিন ও রাতে শত শত বালুবাহী বাল্কহেডের ঢেউয়ে তোড়ে নদীর তীর ভেঙেই চলেছে। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এলাকাবাসী তাদের বাড়ি-ঘর রক্ষার্থে বাল্কহেড বন্ধের দাবিতে নদী পাড়ে এসে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তাছাড়া একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে মেঘনা নদীরও। সেখানেও মানুষ অবৈধ বালু লুটেরাদের কারণে তাদের বাড়ি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের দেয়া বালু ইজারার জন্য নির্দিষ্ট স্থান থেকে বালু না তুলে নদীর পাড় ধরে শত শত ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে বালু নিয়ে যাচ্ছে। তাতেই মেঘনা পাড়ের কয়েকটি বসতি এলাকা ভাঙনের কবলে পড়ছে। এ নৈরাজ্য যেন দেখার কেউ নেই। তাতেই মানুষকে এখন প্রতিবাদী হয়ে নদীর পাড়ে দাঁড়াতে হচ্ছে। ইছামতি নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কীভাবে চলাচল করছে তা কারো বোধগম্য হচ্ছে না।
প্যানেল/মো.