
ছবি সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠকের খবরে গাজায় আশার আলো দেখছেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। তাঁদের প্রত্যাশা, এই বৈঠক থেকেই একটি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসবে এবং দীর্ঘদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটবে।
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে যে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে, তার প্রতিবিম্ব প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে সংবাদমাধ্যমে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলমান যুদ্ধের ২২ মাসে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৭ হাজার ৫২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এছাড়া, গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ কখনো না কখনো বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। অনেকে বারবার ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় বদলাতে বাধ্য হয়েছেন। কেউ কেউ পরিবারের সব সদস্য হারিয়েছেন।
মধ্য গাজার একটি তাঁবু শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মাজিদ ফারওয়ানা বলেন, “উচ্ছেদ মানেই মৃত্যু। আমরা প্রতিটি মুহূর্তে কষ্ট পাচ্ছি। খাবার, পানি ও ছায়ার সন্ধানে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গরমের তাপে জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।”
গাজাবাসীর আশা, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনায় কোনো সমাধান বের হবে। তাঁরা শান্তি চান, একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চান, যেখানে তাঁদের সন্তানরা আর ক্ষুধা ও মৃত্যুর মুখোমুখি হবে না।
ফিলিস্তিনিদের এই আকুতি এখন আন্তর্জাতিক সমাজের কর্ণগোচর হবে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
শেখ ফরিদ