
মানুষের জীবন সুন্দরভাবে গড়তে হলে তাকে সময় সচেতন হতে হবে। বিষয়টি মানুষকে নিয়ে বিশেষ করে বাঙালিদের নিয়ে। আসলে কি আমরা সময় সচেতন? আসলে আমাদের মধ্যে সময় সচেতনতা, আত্মবিশ্বাস কিংবা সুন্দর জীবনের জন্য একটা ঠিকঠাক পরিকল্পনা করার বড্ড অভাব। আমরা খুব কমই সময়কে গুরুত্ব দেই। যার ফলে আমরা ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছি। জীবনে সফলকাম হতে চাইলে সময়কে গুরুত্ব সবার আগে দিতে হবে। সময় সচেতন মানুষই সফল মানুষ। আমরা যদি উন্নত দেশগুলোতে তাকাই তারা সময়কে কাজে লাগিয়ে উন্নতির শিখরে পৌঁছে গেছে। সেদিক থেকে আমরা কত পিছিয়ে পড়ছি। সময়মতো কাজ করার অভ্যাস আমাদের মধ্যে যদি গড়ে তোলা যায় তবে সফলতার দৌড়ে আমরাও এগিয়ে যেতে পারব। জীবনের প্রত্যেকটি দিন মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রত্যেকটি দিনকে কাজে লাগানোর জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। সময়কে যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে আমাদের মধ্যে থাকা অলসতা অসচেতনতা দূর করে আমাদের ভিতর আত্মবিশ্বাস জোগাতে সাহায্য করবে। সময় হচ্ছে পরমতর সম্পদ একবার হাতছাড়া হয়ে গেলে সেটা আর পাওয়া যায় না। তাই আমাদের সময়-জ্ঞান থাকাটা খুব জরুরি। তবে সময়-জ্ঞান বাঙালিদের কমই থাকে। অফিস আদালতে একটা অভিযোগ কেউ সময়মতো আসে না। কথাটি একশো ভাগ সত্যি। আমরা বাঙালিরা চিরকাল সময়কে অবহেলা করে এসেছি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ঠিক সেইপথেই হাঁটছে, যা আমাদের দেশের জন্য মঙ্গলকর নয়। এতে আমরা পিছিয়ে যাব। আমরা পিছিয়ে গেলে দেশও পিছিয়ে পড়বে। আমাদের মতো দেশে যানজট নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা সেই ক্ষেত্রে আমরা গন্তব্যে পৌঁছাতে সময়-জ্ঞান থাকাটা খুব প্রয়োজন। সময় থাকতে সময়ের কাজ করা উচিত। দিনের শুরুতে ঠিক করতে হবে কোনটা কাজ কখন করতে হবে। প্রয়োজনে ঘড়ির এলার্ম ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে হবে। মনে রাখতে হবে আজকের কাজ আজকে করতে হবে। প্রতিদিন নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখতে হবে নিজেকে মূল্যায়ন করার জন্য। সময় সচেতন হয়ে নিজেকে বিকশিত করতে হবে। সময় সচেতন মানুষ বিকশিত ও সফল মানুষে পরিণত সহজে হতে পারে। সময়ে পিছিয়ে গেলে বাঙালি পিছিয়ে যাবে একথা বাঙালি মানে আমাদের বুঝতে হবে। বর্তমানে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় যে পরিমাণ সময় নষ্ট করি তাতে নিজের যেমন ক্ষতি করছি ঠিক তেমনি দেশের ক্ষতি করছি। তাই অপ্রয়োজনীয় ভাবে সময় নষ্ট না করে সময়কে কাজে লাগাতে হবে। তাই সফলতা অর্জনে সময়মতো কাজ করলে দায়িত্বশীলতা আসে, আত্মবিশ্বাস বাড়ে। সর্বোপরি সুসংগঠিত ও পরিকল্পিত জীবন গড়ে উঠে।
গাইবান্ধা থেকে
প্যানেল/মো.