
৩০ জুলাই ২০২৫ তারিখে যথাযোগ্য মর্যাদায় কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস “জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি” এবং “রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস” পালন করেছে। দিবস পালনের সকল পর্বে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন, ওএসপি, এডব্লিউসি, পিএসসি দূতাবাসে উপস্থিত সকলকে সঙ্গে নিয়ে জুলাই আগস্টের গ্রাফিতি ও ফটোগ্যালারি উদ্বোধনের পর পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচী শুরু হয়। অতঃপর জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের উপর কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের পর কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তৃতায় মান্যবর রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে, জুলাই আগস্টের আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার এবং মৌলিক অধিকারের সপক্ষে একটি বলিষ্ঠ ও ঐক্যবদ্ধ কন্ঠস্বর যেখানে লাখো মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় নেমে এসেছিলো একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক এবং মানুষের কল্যাণে প্রতিশ্রুতবদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যাশায়। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, জুলাই-আগস্টের ভাবধারা বহন করে কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে সৎভাবে জীবনযাপন করে দেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে নিরব সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত জুলাই- আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ওআহত ব্যক্তিবর্গ এবং তাঁদের পরিবার এবং বিশ্বের সকল রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য সমাপ্ত করেন। পরিশেষে, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা এবং সকল রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের মঙ্গল কামনা করে এক বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচী সমাপ্ত হয়।
আঁখি