ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ৭৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। পাশাপাশি ৪৭টি সহকারী শিক্ষককের পদও শূণ্য রয়েছে উপজেলার ৩১টি বিদ্যালয়ে। ৬ পোস্টের এসব বিদ্যালয়ের কোন কোনটিতে ৩ থেকে ৪ জন সহকারী শিক্ষককের পদও শূণ্য রয়েছে। জোড়াতালি দিয়ে কোন রকমে চলছে পাঠদান। অবসর, মৃত্যু ও মামলা জনিত কারণে এই পদগুলো শূণ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। শিক্ষকশূণ্য এসব বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে শিক্ষক দেয়ার কথা বললেও, চাহিদার তুলনায় তা নগণ্য।
প্রধান শিক্ষক শূণ্য বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে, শ্যামগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লামাপাড়া, ডেংগা, চান্দের সাটিয়া, রামচন্দ্র নগর, শাহগঞ্জ, ছিলিমপুর, খলত বাড়ি, কড়েহা, নহাটা, আমুদপুর, ভুটিয়ারকোণা, ঘাটের কোণা, সোনাকান্দি, সহনাটি, ধোপাজাঙ্গালিয়া, পল্টীপাড়া, ভালুকাপুর, কাশীচরণ, টেংগাপাড়া, বড়ভাগ, দাড়িয়াপুর, গোবিন্দ নগর, পশ্চিমপাড়া, বিশ্বনাথপুর, ধুরুয়া, ডাউকী, নওয়াগাও, আহছানপুর, সরযুবালা পৌর, গিধাউষা, লক্ষীপুর, বেলতলী, উখাকান্দা, শৌলঘাই, সাতপাই, পশ্চিম কাউরাট, বেকার কান্দা, গাভীশিমুল, ইছুলিয়া, মুখুরিয়া, মহিশ্বরণ, সিংরাউন্দ, সহরবানু, ধারাকান্দি, বিষমপুর নিউ, নিজ মাওহা, কুমড়ি, চল্লিশা কড়েহা, কুমড়ি, মাওহা নয়ানগর, দৌলতাবাদ, বহেড়াতলা, বড়ইবাড়ি, সহনাটি আব্বাসিয়া, বেতন্দর আদর্শ সংসদ, আব্দুর রহমান, গুজিখা, দামগাও, পাঁচাশি, আগপাড়া, কান্দুলিয়া, পশ্চিমপাড়া, বৈরাটি আজমত আলী, হিরন সনখিলা, সাবদুল সরকার, আজমত আলী মন্ডল, নাপ্তের আলগী, সিধলা চারআনি, গোবরা, হাসানপুর উত্তর পাড়া, পূর্ব পুনারিয়া, চিতরাটিয়া, চাঁনপুর, আব্দুল শেখ মেমোরিয়াল, শৌলঘাই, সুতিরপায়া, শাহবাজপুর, নন্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে চল্লিশা কড়েহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বড়ইবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ জন করে ও গোবরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ জন সহকারী শিক্ষককের পদ শূণ্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদও শূণ্য।
এছাড়াও মাওহা, কড়েহা, সহনাটি, ধোপাজাঙ্গালিয়া, উখাকান্দা, যোগীর ডাংগুলি, বহেড়াতলা, পেচাংগীয়া, পূর্ব পুবারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ জন করে সহকারী শিক্ষককের পদ খালি রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক না থাকায় ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরা যথাসময়ে স্কুলে আসেন না, নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছুটি দিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে একাধিক। এতে বিদ্যালয় থেকে ঝরে যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী।
গৌরীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন- অবসর, মৃত্যু ও মামলা জনিত কারণে প্রধান শিক্ষককের পদগুলো শূণ্য হয়েছে। সহকারী শিক্ষক শূণ্য পদ বিদ্যালয়গুলো বেশির ভাগই প্রত্যন্ত অঞ্চলের। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পোস্টিং দিলে তাঁরা বিভিন্ন প্রভাবশালীদের মাধ্যমে তুলনামূলক সুবিধাজনক বিদ্যালয়ে চলে আসেন, যে কারণে বিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষককের ঘাটতি রয়েছে। এসব প্রতিবন্ধকতা নিয়েই পাঠদান চলছে। সমস্যাগুলো
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন, জানালেন এ শিক্ষা কর্মকর্তা।
আঁখি
