ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

পূর্ববর্তী সরকার বাংলাদেশকে অচল ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল: তিতুমীর অধ্যক্ষ

মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ রাব্বী, তিতুমীর কলেজ

প্রকাশিত: ১৭:০০, ৩১ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৭:০২, ৩১ জুলাই ২০২৫

পূর্ববর্তী সরকার বাংলাদেশকে অচল ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল: তিতুমীর অধ্যক্ষ

ছবিঃ সংগৃহীত

পূর্ববর্তী সরকার যারা এদেশ শাসন করেছে, তারা বাংলাদেশকে অচল ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল—এমন মন্তব্য করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দিন আহমেদ।

"জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ২০২৫" উপলক্ষে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ভিত্তিক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কলেজের শহীদ বরকত মিলনায়তনে এ ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দিন আহমেদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম এবং শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক ড. এম এম আতিকুজ্জামানসহ সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীতে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দিন আহমেদ বলেন, "জুলাই মাস ৩১ দিনের হলেও, ২০২৪ সালের এই জুলাই যেন আমাদের জন্য দীর্ঘতর ও বেদনাবহ হয়ে উঠেছিল। আজকের এই প্রদর্শনীর দিনকে 'অনুষ্ঠান' বলা যায় না, কারণ এটি কোনো উৎসব নয়—এটি আমাদের যন্ত্রণা ও আত্মবেদনার দিন। একটি জাতির ইতিহাস তার সবচেয়ে বড় সম্পদ, এবং সেই ইতিহাসে নতুন তথ্য যোগ হওয়া স্বাভাবিক। তবে সেই তথ্য হতে হবে আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও জীবন গঠনের সহায়ক। আমরা চাই, ইতিহাসের আলোকে বাংলাদেশ একদিন একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও অধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। এটাই আমার এবং আমার সন্তানের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা।"

তিনি বলেন, "যারা অতীতে এ দেশ শাসন করেছে, তারা বাংলাদেশের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। তারা বাংলাদেশকে একটি অচল ও ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করে আমাদের উন্নতির পথ রুদ্ধ করেছে এবং জনগণের জীবনকে করেছে দুর্বিষহ।"

"আজকের ডকুমেন্টারিতে রয়েছে সেই নির্মম ইতিহাস, যেখানে ২০০০ প্রাণ ও ২৫ হাজার আহত ভাইয়ের আর্তনাদ লুকিয়ে আছে। যদিও ক্যালেন্ডারে আজকের দিন, ৩১ জুলাই, একটি তারিখমাত্র—আমাদের কাছে এটি গভীর বেদনার প্রতীক। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, এমন জুলাই যেন আর কখনও আমাদের জীবনে না ফিরে আসে।"

উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম বলেন, "জুলাই-আগস্ট আমাদের জীবনের একটি স্মরণীয় সময়। আমরা যখন বাইরে বের হই, শহরের প্রতিটি দেয়ালে দেয়ালে আমাদের সন্তানদের গ্রাফিতি দেখতে পাই এবং সেই গ্রাফিতি দেখে আমরা জুলাইকে স্মরণ করি।"

ইমরান

আরো পড়ুন  

×