ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

এক্সেল ও পাওয়ার পয়েন্টেও দখল নিচ্ছে চ্যাটজিপিটি

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ১ আগস্ট ২০২৫; আপডেট: ০৮:২৫, ১ আগস্ট ২০২৫

এক্সেল ও পাওয়ার পয়েন্টেও দখল নিচ্ছে চ্যাটজিপিটি

ছবিঃ সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) দুনিয়ায় এক নতুন পালাবদলের বার্তা নিয়ে এসেছে OpenAI-এর চ্যাটজিপিটি। প্রযুক্তির নতুন দিগন্তে এখন লক্ষ্য মাইক্রোসফট এক্সেলের মতো জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত সফটওয়্যার। যেখানে আগে মানুষ ছিল একমাত্র চালক, এখন সেখানে চ্যাটজিপিটির শক্তিশালী মডেল নিজেই এক্সেল ফাইল খুলে, তথ্য বিশ্লেষণ করে, এমনকি উপস্থাপনাও তৈরি করতে পারছে—একেবারে মানুষের মতো।

এক সময়, অফিস সহকারী বা ডেটা এন্ট্রি কর্মীদের দক্ষতার মাপকাঠি ছিল Excel ব্যবহার। Microsoft Office-এর এই সফটওয়্যারটি দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার করেছে বিশ্বজুড়ে। তবে এখন দৃশ্যপট বদলাচ্ছে।

প্রথমে, চ্যাটজিপিটি শুধুমাত্র এক্সেল ফর্মুলা লিখে দিতে পারত—যেমন: =IF(AND(A2>100,B2="Yes"),"Approve","Reject") এর পরিবর্তে আপনি শুধু লিখতেন: "যদি কলাম A এর মান ১০০ এর বেশি হয় এবং কলাম B-তে 'Yes' থাকে, তাহলে Approve দেখাও" আর বাকি কাজটা করে দিত চ্যাটজিপিটি।

কিন্তু এখন, চ্যাটজিপিটির নতুন সংস্করণ সরাসরি এক্সেল ফাইল তৈরি, সম্পাদনা ও বিশ্লেষণ করতে পারছে। এমনকি PowerPoint-এর মতো প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যারও বাদ যাচ্ছে না।

"Business Standard"-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যবহারকারীরা এখন Microsoft Excel বা PowerPoint ইনস্টল না করেও চ্যাটজিপিটিতে সরাসরি স্প্রেডশিট ও স্লাইড তৈরি করতে পারছেন। নতুন এই প্রযুক্তি Microsoft-এর নিজস্ব পণ্যের প্রয়োজনীয়তাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।

এক GitHub ব্যবহারকারী “Ameenha23” লিখেছেন, ChatGPT-4 এক্সেলের কাঠামোগত দক্ষতা এতটাই ভালোভাবে বুঝতে পারছে যে এটি এখন কেবল ডেটা ম্যানিপুলেশন নয়, বরং স্ট্যান্ডার্ড রিপোর্ট তৈরি, অটোমেটেড ডেটা এন্ট্রি, ও ব্যবহারকারীদের ধাপে ধাপে সহায়তা প্রদান করছে।

এটি এক ধরনের অফিস অটোমেশন যা অনেকের জন্য আশীর্বাদ হলেও, প্রচুর এন্ট্রি-লেভেল কর্মীর জন্য এটি নতুন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে।

লেখকের মতে, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই প্রযুক্তিগুলো বাস্তব কর্মক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়বে। ফলস্বরূপ, অনেক অফিস সহকারী বা ডেটা এন্ট্রি কর্মী হয়ত চাকরি হারাবেন বা নতুন দক্ষতা শিখতে বাধ্য হবেন।

তবে এর উল্টো দিকও রয়েছে। নতুন এআই ক্ষমতা মানুষকে আরও সৃজনশীল ও উচ্চ পর্যায়ের কাজে নিয়োজিত হতে সাহায্য করতে পারে, যেখানে একঘেয়ে বা নিয়মিত কাজগুলো এআই পরিচালনা করবে।

চ্যাটজিপিটি এখন কেবল একটি টুল নয়, এটি হয়ে উঠছে একটি ‘অফিস ইউজার’। মানুষ ও মেশিনের মধ্যে এই প্রতিযোগিতাই এখন ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান নির্ধারণ করবে।

নোভা

×