ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

বয়স কমানোর চাবিকাঠি হয়তো খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২০, ১ আগস্ট ২০২৫

বয়স কমানোর চাবিকাঠি হয়তো খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা!

ছবি: সংগৃহীত

বার্ধক্য আর কেবল আলাদা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয় নয়। নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, বার্ধক্য আসলে শরীরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে রক্তের মাধ্যমে। এই যুগান্তকারী তথ্য দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়া ইউনিভার্সিটি কলেজ অব মেডিসিন-এর গবেষকরা।

গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের শরীরে একটি বিশেষ অণু HMGB1, রক্তের মাধ্যমে এক অঙ্গ থেকে আরেক অঙ্গে বার্ধক্যের সংকেত পাঠায়। এই অণুটিকে তারা “জৈবিক বার্তাবাহক” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের কিছু কোষ senescent হয়ে যায়, অর্থাৎ তারা আর বিভাজিত হয় না এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক নিঃসরণ শুরু করে, যেগুলোর নাম SASP (Senescence-Associated Secretory Phenotype)। এই রাসায়নিকগুলো আশেপাশের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিন্তু এতদিন জানা ছিল না, এই ক্ষতি শরীরের দূরবর্তী অঙ্গগুলোতেও কীভাবে ছড়ায়।

গবেষকরা আবিষ্কার করেন, ReHMGB1 নামের একটি পরিবর্তিত অণু রক্তে মিশে দূরের অঙ্গেও বার্ধক্যের প্রভাব ফেলতে পারে। এই অণুটি শরীরের দূরবর্তী টিস্যুতে পৌঁছে কোষের বার্ধক্যকে ত্বরান্বিত করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যখন বয়স্ক ইঁদুরদের শরীরে ReHMGB1 প্রবেশ করানো হয়, তাদের কোষের বার্ধক্য বেড়ে যায় এবং পেশীর কার্যক্ষমতা কমে যায়। কিন্তু একে বাধা দিয়ে যখন HMGB1 বিরোধী অ্যান্টিবডি ব্যবহার করা হয়, তখন চমকে দেওয়ার মতো উন্নতি দেখা যায়। ইঁদুরগুলোর পেশি দ্রুত সারে, কোষে কম ক্ষতি হয় এবং শারীরিক কর্মক্ষমতাও বেড়ে যায়।

গবেষণার প্রধান গবেষক অক হি জিওন মনে করেন, এই অণু হতে পারে ভবিষ্যতের বার্ধক্য প্রতিরোধী চিকিৎসার চাবিকাঠি। যদি HMGB1 নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাহলে হয়তো একদিন মানুষের শরীরকেও ‘জৈবিকভাবে তরুণ’ রাখা সম্ভব হবে দীর্ঘদিন ধরে।

মুমু ২

×