ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

সফল জীবনের সোপান

মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ৩০ জুলাই ২০২৫

সফল জীবনের সোপান

সময় আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। একে একবার হারালে আর ফিরে পাওয়া যায় না। তাই সময়ের সদ্ব্যবহারই একজন মানুষের সফলতার ভিত্তি। ইতিহাসের দিকে তাকালেও দেখা যায়, যাঁরা সময়ের মূল্য বুঝেছেন, পরিকল্পিত ও সময়ানুবর্তী জীবন যাপন করেছেন, তাঁরাই হয়েছেন শ্রেষ্ঠ মানুষ, নেতা, উদ্ভাবক বা সফল উদ্যোক্তা। সময় সচেতনতা তাই শুধু একটি অভ্যাস নয়, বরং এটি সফল জীবনের সোপান। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের সমাজে সময়ের অবমূল্যায়ন খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময়মতো অফিসে না যাওয়া, ক্লাসে দেরি করে উপস্থিত হওয়া, মিটিং বা সামাজিক অনুষ্ঠানে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে শুরু করা এসব যেন সামাজিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। অথচ এই অব্যবস্থাপনাই আমাদের ব্যক্তিজীবনে ব্যর্থতা এবং সামষ্টিক জীবনে অগ্রগতির প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
সময় সচেতনতা মানে শুধু কাজের তালিকা তৈরি করা নয়; বরং সেটি অনুসরণ করে দৈনন্দিন জীবনকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখা। সময়ানুবর্তিতা একজন মানুষকে কর্মঠ, নির্ভরযাগ্য এবং পরিশ্রমী হিসেবে গড়ে তোলে। এমনকি মানসিক শান্তি ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। যারা সময়কে কাজে লাগাতে জানে, তারাই জীবনে এগিয়ে যায়। সময় সচেতনতা গড়ে তুলতে হলে পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরুর দিক থেকেই শিশুদের সময়ের মূল্য শেখাতে হবে। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে নির্ধারিত সময় মেনে চলার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগিয়ে সময় ব্যবস্থাপনা সহজ করা সম্ভব। মোবাইল ক্যালেন্ডার, রিমাইন্ডার, টাস্ক ম্যানেজার অ্যাপ ইত্যাদি আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করতে পারে। সময়ই জীবন এই উপলব্ধি থেকেই সময় সচেতনতা শুরু করতে হবে। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই একটি সম্ভাবনা। তাই সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে জীবনে সফলতার দরজা খুলে যাবে। সময়ের সদ্ব্যবহারই হতে পারে একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
রূপনগর, ঢাকা থেকে

প্যানেল/মো.

×