ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

নয় সময়ের অপচয়

মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

প্রকাশিত: ১৮:২৯, ৩০ জুলাই ২০২৫

নয় সময়ের অপচয়

সময় এমন এক সম্পদ, যা একবার চলে গেলে আর ফিরে আসে না। প্রতিটি মানুষ একই পরিমাণ সময় পায় দিনে ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু সবাই সে সময়কে সমানভাবে কাজে লাগাতে পারে না। এখানেই সময় সচেতনতার গুরুত্ব। সময় সচেতনতা মানে শুধু ঘড়ির কাঁটা দেখেই কাজ করা নয়, বরং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে যথাযথ পরিকল্পনায় কাজে লাগানো।
একজন সময় সচেতন ব্যক্তি জানে কোন কাজ কখন করতে হবে এবং কতটুকু সময় দিতে হবে। এটি তার কাজের দক্ষতা বাড়ায়, মানসিক চাপ কমায় এবং জীবনে শৃঙ্খলা আনে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য সময় সচেতনতা আরও বেশি জরুরি। সময়মতো পড়াশোনা, বিশ্রাম ও বিনোদনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে না পারলে তারা পিছিয়ে পড়ে। একইভাবে কর্মক্ষেত্রেও সময় সচেতনতা কর্মদক্ষতা ও প্রোডাক্টিভিটি বাড়ায়। সময় নষ্ট হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো পরিকল্পনার অভাব এবং অনর্থক কাজে সময় ব্যয়। মোবাইল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অলসতা ইত্যাদি আমাদের মূল্যবান সময় কেড়ে নেয়। তাই আমাদের উচিত সময় ব্যবস্থাপনার সুনির্দিষ্ট কৌশল তৈরি করা। যেমন- দৈনন্দিন কাজের তালিকা করা, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ ভাগ করা, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করা ইত্যাদি। 
সময় সচেতনতা শুধু ব্যক্তি নয়, সমাজ ও জাতির উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। যদি সবাই সময়ের মূল্য বুঝে কাজ করে, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারব। তাই সময়কে ছোট করে দেখা নয়- এই সময়ই আমাদের জীবনের চিত্র পাল্টাতে পারে।
সময় নষ্ট করার কারণসমূহ
১. প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার- সোশ্যাল মিডিয়া, মোবাইল গেমস, ইউটিউব ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে সময় অপচয়।
২. পরিকল্পনার অভাব- দৈনন্দিন কাজের পরিকল্পনা না থাকলে সময় হারিয়ে যায়।
৩. অলসতা ও আলস্য- সিদ্ধান্তহীনতা ও ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতা।
৪. বিষয়ভিত্তিক অগ্রাধিকার নির্ধারণে ব্যর্থতা- কোন কাজ আগে করবে তা ঠিক না করতে পারা।
৪ . প্রতিকূল পরিবেশ- অমনোযোগী বন্ধু বা সহকর্মীর প্রভাবে সময়ের অপব্যবহার।
সময়ই জীবন। সময়কে অবহেলা করা মানেই জীবনের সম্ভাবনাকে অস্বীকার করা। তাই আজই সময় সচেতন হওয়ার শপথ নিই এবং নিজের উন্নয়নের পাশাপাশি সমাজ ও দেশের কল্যাণে সময়কে যথার্থভাবে কাজে লাগাই।
চট্টগ্রাম থেকে

প্যানেল/মো.

×