ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি দুর্নীতির অভিযোগ, ১৩ জনের বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর

প্রকাশিত: ১৮:২২, ৩০ জুলাই ২০২৫

পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি দুর্নীতির অভিযোগ, ১৩ জনের বিরুদ্ধে

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, ঝোটন চন্দ্রসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে দলনেতা ও উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে সদস্য করে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুদক বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন, মাদারীপুর সাবেক জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়হিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ, মাদারীপুরের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মোঃ সাইফুদ্দিন গিয়াস, ‎মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, ‎আল মামুন, মোঃ নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ‎কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নাসিরউদ্দিন, মোঃ আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল।

এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন,
“পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ১৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।”

সানজানা

×