
ছবিঃ সংগৃহীত
গাজা যেন হয়ে উঠেছে ইসরায়েলের ‘ডাস্টবিন’। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের উত্তাপ যখন মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে, তখনও থেমে থাকেনি গাজার ওপর ভয়াবহ আগ্রাসন। চাঞ্চল্যকর এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে—ইরানে হামলা চালিয়ে ফেরার পথে ইসরায়েলি জঙ্গিবিমানগুলো অবশিষ্ট বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র গাজায় নিক্ষেপ করেছে।
‘এক ঢিলে দুই পাখি মারার’ মতোই এই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। প্রতিবেদনে বলা হয়, “অপারেশন রাইজিং লায়নের” শুরুর দিকেই গাজায় অবশিষ্ট অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তাব ওঠে, যাতে সম্মতি দেন আইডিএফ কমান্ডার মেজর জেনারেল তোমের বার। এরপর থেকেই গাজায় হামলার মাত্রা বেড়ে যায়।
এই হামলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খান ইউনিসের আল আত্তার এলাকায় বেশ কয়েকটি তাবু এবং মাগাজি শরণার্থী শিবির। নিহত হয়েছেন শতাধিক বেসামরিক মানুষ।
এদিকে, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পেছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনৈতিক তৎপরতাকে আংশিক সফলতা হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসান এবং জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
একাধিক কূটনৈতিক সূত্র জানায়, খুব শিগগিরই একটি যুদ্ধবিরোধী চুক্তি ঘোষণা হতে পারে। মিশরীয় সংবাদমাধ্যম আল রাত জানায়, সম্ভাব্য চুক্তিতে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের আংশিক প্রত্যাহার এবং হামাসের কাছ থেকে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা রয়েছে।
চুক্তির গ্যারান্টি হিসেবে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র এবং এতে মধ্যস্থতা করবে মিশর ও কাতার। আলোচনায় থাকবে যুদ্ধোত্তর সময়ের শাসনব্যবস্থা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা।
তবে ইসরায়েলি সরকারের অভ্যন্তরে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের ফেব্রুয়ারির হুমকিকে সামনে রেখে হামাস চুক্তিতে রাজি নাও হতে পারে। ট্রাম্প বলেছিলেন, “গাজা থেকে সমগ্র জনসংখ্যা উচ্ছেদ করে তাকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা হিসেবে পুনর্গঠন করা হবে।” এই বক্তব্য হামাসের মনোভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইমরান