
ছবি: সংগৃহীত
স্ট্যানফোর্ড-শিক্ষিত গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ড. ওয়েন্ডি লেব্রেট বলেছেন, কিছু সহজ ডায়েট ও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার বা চর্বিযুক্ত যকৃতের সমস্যা সম্পূর্ণভাবে প্রতিরোধযোগ্য এবং অনেক সময় তা উল্টেও দেওয়া সম্ভব।
৯ মার্চ ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক ভিডিওতে তিনি জানান, ফ্যাটি লিভারের দুটি প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন এবং মেটাবলিক সিনড্রোম—যা শরীরে চর্বি জমার প্রবণতা বাড়ায়। এই সমস্যাকে ঠেকাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেসব অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: এক, পুরোপুরি অ্যালকোহল বর্জন—এমনকি যদি তা সপ্তাহে এক-দুইবারও হয়ে থাকে; দুই, অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা থাকলে তা কমানো এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা; তিন, ওজন না কমলেও নিয়মিত ব্যায়াম করা—কারণ ব্যায়াম নিজেই যকৃতের চর্বি হ্রাসে কার্যকর; এবং চার, গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত কফি পান (ডিক্যাফ বা সাধারণ—উভয়ই) যকৃতকে ফাইব্রোসিস বা জটিলতায় রূপান্তরিত হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।
ফ্যাটি লিভার রোগ তখনই ঘটে যখন যকৃতের কোষে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চর্বি জমে, যা এর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত করে। এটি দুটি ধরণের হতে পারে—একটি অ্যালকোহলজনিত (AFLD), অপরটি অ্যালকোহল-বহির্ভূত, যা স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও মেটাবলিক সমস্যার সঙ্গে জড়িত (NAFLD)। নতুন করে NAFLD-কে বলা হচ্ছে MASLD বা Metabolic Dysfunction Associated Steatosis Liver Disease।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর তেমন লক্ষণ দেখা যায় না, তবে কেউ কেউ বড় খাবার খাওয়ার পর ডান পাঁজরের নিচে ভারী লাগা বা অস্বস্তি অনুভব করতে পারেন। সাধারণত আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে যকৃত বড় ও উজ্জ্বল দেখালেই ফ্যাটি লিভারের ইঙ্গিত মেলে।
শিহাব