
দীর্ঘদিনের টানটান অবস্থা, ভুল ভঙ্গিমা বা অস্পষ্ট ব্যথা — এসব সমস্যার মূল হতে পারে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরন। শ্বাস নেওয়ার পদ্ধতি শুধু আপনার মানসিক চাপ কমায় না, এটি আপনার শরীরের চলাচল, ভারসাম্য ও ব্যথা নিরসনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বর্তমান উচ্চচাপের, স্ক্রিন-কেন্দ্রিক জীবনে অনেকেই বুকের ওপরের অংশ দিয়ে দ্রুত ও হালকা শ্বাস নিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এর ফলে ডায়াফ্রাম নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে এবং ঘাড় ও কাঁধের পেশিগুলো অতিরিক্ত চাপ সহ্য করে। এর ফলেই শরীরের অস্থিরতা, মেরুদণ্ডের ভারসাম্যহীনতা, ব্যথা এবং আঘাতের ঝুঁকি বাড়ে।
কীভাবে বুঝবেন আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস সঠিক কিনা?
শুয়ে পড়ে নিচের পাঁজরের পাশে হাত রাখুন। যদি শ্বাস নিতে গিয়ে ঘাড়, বুক বা কাঁধ বেশি নড়ে এবং পাঁজরে খুব কম চলাচল হয়, তাহলে আপনি সম্ভবত ডায়াফ্রাম-ভিত্তিক শ্বাস নিচ্ছেন না।
ঠিক কীভাবে শ্বাস নেবেন?
-
নাক দিয়ে ৪ সেকেন্ডে শ্বাস নিন
-
নাক বা মুখ দিয়ে ধীরে ৮ সেকেন্ডে ছাড়ুন
-
শেষে ২ সেকেন্ড বিরতি দিন
-
এভাবে ১০–১২ বার করুন প্রতিদিন
এই প্রশিক্ষণ আপনার নার্ভ সিস্টেমকে শান্ত রাখবে, ডায়াফ্রামের কাজ পুনরুদ্ধার করবে এবং দেহের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনবে।
শারীরিক ব্যায়ামে কীভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস কাজে লাগাবেন?
-
ওয়ার্মআপে সচেতন শ্বাস-প্রশ্বাস নিন
-
ব্যায়ামের প্রচেষ্টার সময় শ্বাস ছাড়ুন
-
মোচড়ানো বা স্ট্রেচিংয়ের সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের ছন্দ ব্যবহার করুন
-
হালকা কার্ডিওতে নাক দিয়ে শ্বাস নিন
-
ব্যায়ামের পর লম্বা শ্বাস ছাড়ুন চাপ কমাতে
শ্বাস নেওয়া শুধু টিকে থাকার বিষয় নয় — এটি আপনার শরীরকে ব্যথামুক্ত, শক্তিশালী ও আরও স্থিতিশীল করে তুলতে পারে। তাই গলা বা পিঠে ব্যথা লাগলেই স্ট্রেচিং নয়, আগে দেখুন আপনি ঠিকভাবে শ্বাস নিচ্ছেন কি না। এটা আপনার সুস্থতার চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে।
Jahan