
ছবি: প্রতীকী
শীতকালে শুষ্ক কাশি বা ড্রাই কফ একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেকেরই ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই ধরনের কাশিতে কোনো কফ বা মিউকাস বের হয় না, এবং এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে।
পরিবেশ দূষণ, শীতের শুষ্কতা, অ্যালার্জি, ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, ধূমপান বা রাসায়নিকের সংস্পর্শ, অ্যাসিড রিফ্লেক্স এবং কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুকনা কাশির পেছনে দায়ী।
বিশেষ করে ঢাকা শহরের মতো এলাকায় বায়ু দূষণের মাত্রা অত্যধিক হওয়ায় ধুলাবালি ও যানবাহনের ধোঁয়ার প্রভাব শ্বাসতন্ত্রের ওপর পড়ে। শীতে ঠান্ডা বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়াও এই সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
অনেকের ক্ষেত্রে অ্যালার্জি, ভাইরাসজনিত ফ্লু, ব্রংকাইটিস, অ্যাজমা বা কোভিড-পরবর্তী ফুসফুসের জটিলতা শুকনা কাশির কারণ হয়। দীর্ঘদিনের ধূমপান বা বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শেও এটি হতে পারে।
শুকনা কাশি থেকে মুক্তি পেতে কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করা যেতে পারে। বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার ধুলাবালি এড়াতে সাহায্য করে। শরীর হাইড্রেট রাখতে প্রচুর পানি ও পানীয়জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি।
আদা, পুদিনা পাতা বা লবঙ্গ দিয়ে তৈরি গরম পানীয় কাশিতে আরাম দেয়। অ্যালার্জি এড়ানো এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুকনা কাশি দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শীতকালে সচেতনতার মাধ্যমে শুষ্ক কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সঠিক যত্ন এবং সাবধানতা আপনাকে সুস্থ রাখবে।
মেহেদী কাউসার